ইনফ্লুয়েঞ্জার আতঙ্ক, পুজোয় কী ভাবে সতর্ক থাকবেন? ছবি: এআই।
ইনফ্লুয়েঞ্জার বাড়বাড়ন্ত দিল্লিতে। ছোটরাই আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, আক্রান্তদের নমুনায় এইচ৩এন২ ইনফ্লুয়েঞ্জার স্ট্রেন পাওয়া গিয়েছে। করোনার প্রকোপ কমেছে মানেই যে, ভাইরাসজনিত জ্বরের উপদ্রব কমেছে, তা নয়। বরং খামখেয়ালি আবহাওয়ায় ইনফ্লুয়েঞ্জা, সোয়াইন ফ্লু-এর ভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত আতঙ্কের কারণই হয়ে উঠেছে। এক সময়ে কেবল শীতের মাসগুলোতেই ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রকোপ বাড়ত। কিন্তু এখন আবহাওয়ার ভোলবদলে এবং দূষণের জেরে বছরের যে কোনও সময়েই ভাইরাসের দাপট বাড়ছে।
‘ইনফ্লুয়েঞ্জা এ’ ও ‘ইনফ্লুয়েঞ্জা বি’ দুই প্রজাতির ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটছে। খবর, গত বছর থেকেই এই দুই প্রজাতির ভাইরাস ধীরে ধীরে সক্রিয় হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়েছে। আর এখন ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের কারণেই নতুন নতুন উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। শিশুদের ইনফ্লুয়েঞ্জা হলে বাড়তি সতর্কতা জরুরি।
ইনফ্লুয়েঞ্জা ছোঁয়াচে
মেডিসিনের চিকিৎসক অরুণাংশু তালুকদার জানাচ্ছেন, এইচ৩এন২ ইনফ্লুয়েঞ্জা ছোঁয়াচে। আক্রান্তের হাঁচি-কাশি, থুতু থেকে ছড়াতে পারে। সাধারণ উপসর্গগুলি অনেকটা ভাইরাল জ্বরের মতো। মাথা ব্যথা, নাক দিয়ে জল ঝরা, কাশি এবং গায়ে-হাতে ব্যথা। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলে বা কোনও কোমর্বিডিটি থাকলে ঝুঁকি আরও বাড়বে। সে ক্ষেত্রে, শ্বাসকষ্ট দেখা দেবে। সময় মতো চিকিৎসা না করালে, শিশুদের ক্ষেত্রে ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রাণঘাতীও হতে পারে।
ভয় কি এখানেও?
শুধু দিল্লি নয়, এ রাজ্যেও ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের দাপট বেড়েছে। তাই সতর্ক হওয়া জরুরি বলেই মনে করছেন চিকিৎসক। ইনফ্লুয়েঞ্জা-এ ভাইরাসেরই ‘এইচ ১ এন ১’ এবং ‘এইচ ৩ এন ২’ প্রজাতির সংক্রমণ হলে ‘অ্যাকিউট নিউমোনিয়া’ হবে। সে ক্ষেত্রে ফুসফুস সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। মারাত্মক শ্বাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আরও কিছু উপসর্গ দেখা দিতে পারে, যেমন, শ্বাস নিতে গেলে বুকে যন্ত্রণা হবে। হৃৎস্পন্দনের হার বাড়তে পারে। বুকে চাপ চাপ ব্যথা অনুভূত হতে পারে। হৃদ্রোগ থাকলে শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা আচমকা কমে যেতে পারে। সেই সঙ্গেই বমি ভাব, ডায়েরিয়া, মুখের ভিতর শুকিয়ে যাওয়া, গাঢ় রঙের প্রস্রাব, চোখ ফুলে যাওয়ার মতো লক্ষণ দেখা দেবে। তাই সতর্ক থাকতেই হবে।
ইনফ্লুয়েঞ্জা ধরা পড়লে চিকিৎসকের পরামর্শেই ওষুধ খাওয়া জরুরি। আগে থেকে টিকা নিয়ে রাখলে ভাল, তবে গায়ে জ্বর থাকলে বা ইনফ্লুয়েঞ্জা ধরা পড়লে তখন প্রতিষেধক নেওয়া যাবে না।