Yoga poses to cure Migraine

যোগাসনের ৫ পদ্ধতিতে নির্মূল হবে মাইগ্রেন, বৃষ্টির দিনে যন্ত্রণা বাড়লে চটজলদি আরাম দেবে

মাইগ্রেনের সমস্যায় নিয়মিত ‘স্ট্রেস রিলিফ’ ব্যায়াম করা ভাল। এতে এন্ডরফিন, অক্সিটোসিন, ডোপামিনের মতো ‘হ্যাপি হরমোন’-এর ক্ষরণ বৃদ্ধি পায়। মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালনও ভাল হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৮ জুন ২০২৫ ১২:১৯
Share:

কোন কোন আসন অভ্যাসে মাইগ্রেনের ব্যথা চিরতরে দূর হতে পারে? ছবি: ফ্রিপিক।

গরম পড়লে মাথাব্যথা, বৃষ্টি নামলে মাথায় যন্ত্রণা। অফিসে জরুরি মিটিং চলছে, দেখবেন হঠাৎ মাথায় টিপটিপ করে ব্যথা শুরু হল। আর যেমন-তেমন ব্যথা নয় যে, এক বার হল আর সেরে গেল। এক বার শুরু হলে ব্যথা কমার নামই নেই। একটা গোটা দিন তো বটেই, টানা দুই থেকে তিন দিন ধরে দেখবেন মাথাব্যথা ভোগাচ্ছে। এই ধরনের মাথাব্যথা একটানা চলতে থাকলে চিকিৎসকেরা মাইগ্রেনের ব্যথা কি না তা পরীক্ষা করে দেখেন। বৃষ্টির দিনে মাইগ্রেনের ব্যথা আরও বাড়ে। সেই সঙ্গে বমি ভাব, মাথা ঘোরার লক্ষণও দেখা দেয়। ওষুধেও আরাম হয় না। সে ক্ষেত্রে ব্যথা মুক্তির উপায় হতে পারে কয়েকটি আসন।

Advertisement

মাইগ্রেনের সমস্যায় নিয়মিত ‘স্ট্রেস রিলিফ’ ব্যায়াম করা ভাল, এমনই মত ফিটনেস প্রশিক্ষক অনুপ আচার্যের। এতে এন্ডরফিন, অক্সিটোসিন, ডোপামিনের মতো ‘হ্যাপি হরমোন’-এর ক্ষরণ বাড়ে। মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালনও ভাল হয়। রোজ দিনের শুরুতে কিংবা কাজের শেষে আধ ঘণ্টার মতো যোগাসন অভ্যাস করতে পারলে মাথাব্যথা, মাইগ্রেনের যন্ত্রণা থেকে রেহাই মিলবে। শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তিও দূর হবে।

কোন কোন আসন মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে পারে?

Advertisement

যোগাসনের নানা পদ্ধতি আছে, যেগুলি মাথা যন্ত্রণা উপশম করতে পারে। ফিটনেস প্রশিক্ষক জানাচ্ছেন, পাঁচ রকম আসন অভ্যাস করতে পারলে উপকার বেশি হবে। যাঁরা মাইগ্রেনের ব্যথার জন্য ওষুধ খান, তাঁরা যদি নিয়মিত এই সব আসন অভ্যাস করেন, তা হলে আর ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজনই হবে না।

বালাসন

শিশুর হামাগুড়ি দেওয়ার ভঙ্গিতে মেঝেতে বসুন। এ বার নিতম্ব গোড়ালির উপর রেখে, কপাল মাটিতে ঠেকান। হাত দুটো পিছনে নিয়ে তালু উল্টো করে পায়ের কাছে রেখে দশ অবধি গুনুন। রোজ চার থেকে পাঁচ সেট করুন এই ব্যায়াম। বালাসন অভ্যাস করলে পিঠ, কোমর, কাঁধের ব্যথাও দূর হবে। মানসিক চাপ কমাতেও অত্যন্ত উপযোগী এই আসন।

উত্তনাসন

ম্যাটের উপর সোজা হয়ে দাঁড়ান। কোমর, পিঠ থাকবে টান টান। এ বার কোমর থেকে শরীর ঝুঁকিয়ে দুই হাতের তালু দিয়ে মাটি স্পর্শ করার চেষ্টা করতে হবে। তবে হাঁটু ভাঙলে হবে না। শরীরচর্চা করার অভ্যাস না থাকলে খুব বেশি ক্ষণ এই অবস্থান ধরে রাখতে পারবেন না। মোটামুটি ১০ সেকেন্ড মতো থেকে আবার প্রথম অবস্থানে ফিরে আসুন।

কর্প ওয়ার্কআউট

কোমর সোজা রেখে দাঁড়ান। এ বার বাঁ পা সামনে এগিয়ে এনে হাঁটু অর্ধেক ভাঁজ করুন। ডান পা পিছনের দিকে স্ট্রেচ করে দিয়ে পায়ের পাতার উপর ভর করে দাঁড়ান। মাথা সামান্য পিছনে হেলিয়ে, ডান হাত রাখুন ডান পায়ের ঊরুর উপর। বাঁ হাত মাথার উপরের দিকে তুলুন। হাতের তালু রাখুন মুখ বরাবর। এই আসনে সারা শরীরে পেশির ব্যায়াম হবে।

অধোমুখ শবাসন

অধোমুখ শবাসনকে বলা হয় ‘ডাউনওয়ার্ড-ফেসিং ডগ পোজ়’। প্রথমে হামাগুড়ি দেওয়ার ভঙ্গিতে বসতে হবে। হাতের তালু মাটিতে রেখে পিঠ-কোমর উপরের দিকে তুলতে হবে, পায়ের পাতা মাটি স্পর্শ করে থাকবে। মাথা মাটির দিকে ঝুঁকিয়ে গভীর ভাবে শ্বাস টানতে ও ছাড়তে হবে ২০ সেকেন্ড। এই আসনে মাইগ্রেনের ব্যথা নির্মূল হবে।

পদ্মাসন

যোগাসনের সবচেয়ে প্রাচীন পদ্ধতি পদ্মাসন বা ‘লোটাস পোজ়’। সুখাসনে বসে ডান পা বাম ঊরুর উপর ও বাম পা ডান ঊরুর উপর রাখুন। এই আসন অভ্যাসে মাথাব্যথা তো কমবেই, হজমশক্তি বাড়বে, মনঃসংযোগও বৃদ্ধি পাবে।

শারীরচর্চা শুরুর পর এক দিনেই কিন্তু মাইগ্রেনের সমস্যা কমে যাবে না। ধৈর্য ধরে নিয়মিত অভ্যাসে নিয়ন্ত্রণে আসবে মাইগ্রেন। প্রথম দিন থেকেই খুব কসরত করতে যাবেন না। দু’টি ব্যায়ামের মাঝে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেবেন। যতটুকু শরীর নিতে পারবে, ততটুকুই অভ্যাস করতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement