Peripheral Artery Disease

পায়ের শিরায় শিরায় টান, রাতে শুয়ে অসহ্য যন্ত্রণাও হতে পারে হার্টের রোগের লক্ষণ!

পায়ে ব্যথা মানেই তা কেবল পেশির যন্ত্রণা, তা না-ও হতে পারে। শিরায় শিরায় রক্ত জমাট বেঁধে তা বড় বিপদের লক্ষণও হতে পারে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০২৫ ১১:৩৯
Share:

পায়ের ব্যথা হার্টের রোগের একটি লক্ষণ বলেই দাবি করেছেন গবেষকেরা। কী ভাবে তা সম্ভব? ছবি: ফ্রিপিক।

পায়ে ব্যথা কমবেশি সকলেরই হয়। কিন্তু যদি দেখেন, পায়ের পেশিতে মাঝেমধ্যেই টান ধরছে, হাঁটুর নীচ থেকে প্রচণ্ড যন্ত্রণা হচ্ছে, তা হলে সতর্ক হতেই হবে। পায়ের ব্যথা মানেই কিন্তু বাত নয়। পায়ে ব্যথা মানেই তা কেবল পেশির যন্ত্রণা, তা না-ও হতে পারে। শিরায় শিরায় রক্ত জমাট বেঁধে তা বড় বিপদের লক্ষণও হতে পারে। পায়ের ব্যথা হার্টের রোগের একটি লক্ষণ বলেই দাবি করেছেন গবেষকেরা। কী ভাবে তা সম্ভব?

Advertisement

হার্ভার্ড মেডিসিন স্কুলের গবেষণা বলছে, দেহের বিভিন্ন অঙ্গে অক্সিজেনসমৃদ্ধ রক্ত ছড়িয়ে পড়ে ধমনীর মধ্য দিয়ে। কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে গেলে সেই ধমনীগুলির ভিতর স্নেহ পদার্থের আস্তরণ তৈরি হয়। ফলে রক্ত চলাচলের পথ রুদ্ধ হয়ে আসতে পারে। একে বিজ্ঞানের ভাষায় বলে ‘প্লাক’ তৈরি হওয়া। এই ধরনের প্লাক তৈরি হলে দেহের বিভিন্ন অঙ্গে রক্ত পৌঁছোনোয় সমস্যা দেখা দেয়। দেহের প্রান্তিক অঙ্গগুলির ধমনীতে তৈরি হওয়া এই সমস্যাকেই বলে ‘পেরিফেরাল আর্টারি ডিজ়িজ়’ বা ‘পিএডি’। রক্ত চলাচলে বিঘ্ন ঘটায় পায়ের শিরা ফুলে ওঠে, তখন প্রচণ্ড প্রদাহ হয়, ফলে পায়ে যন্ত্রণা শুরু হয়। এই ‘পিএডি’ কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই হৃদ্‌রোগের সঙ্কেত বয়ে আনে।

কাদের ঝুঁকি বেশি?

Advertisement

দেশের ‘ন্যাশনাল হার্ট, লাং, ব্লাড ইনস্টিটিউট’ থেকে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে লেখা হয়েছে, পেরিফেরাল আর্টারি ডিজ়িজ় তাঁদেরই বেশি হয়, যাঁদের ডায়াবিটিস বা উচ্চ কোলেস্টেরল আছে। ‘হাই ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন’ ও ‘লো ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন’, মানুষের দেহে মূলত এই দু’ধরনের কোলেস্টেরল পাওয়া যায়। এর মধ্যে দ্বিতীয়টি খারাপ কোলেস্টেরল। খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে গেলেই রক্ত চলাচলের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। হাইপারকোলেস্টেরোলেমিয়ার একটি লক্ষণই হল পায়ের পেশিতে ব্যথা। রক্তে কোলেস্টেরলের স্বাভাবিক মাত্রা প্রতি ডেসিলিটারে ২০০ মিলিগ্রাম হওয়া উচিত। তা যদি বেড়ে গিয়ে ২৪০ মিলিগ্রাম হয়ে যায়, তা হলেও বলা হয় কোলেস্টেরল বাড়ছে। কিন্তু যদি কোলেস্টেরলের মাত্রা এর চেয়েও বেশি হয়, তখন রক্তে এত বেশি প্রোটিন ও ফ্যাট জমা হতে শুরু করে, যা রক্তজালিকাগুলিকে ছিঁড়ে দেয়। ফলে রক্তপ্রবাহ বাধা পায়। এর প্রভাব পড়ে হার্টেও।

মনে রাখতে হবে, পায়ে যন্ত্রণা হওয়ার মানে কিন্তু এই নয় যে, সমস্যা শুধু পায়েই সীমাবদ্ধ। দেহের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গেও এর রেশ পড়ে। ‘পেরিফেরাল আর্টারি ডিজ়িজ়’ থেকে অনেক ক্ষেত্রেই ‘করোনারি আর্টারি ডিজ়িজ়’-র ঝুঁকি বাড়ে। এতে হার্টের ধমনীতে রক্তপ্রবাহ বাধা পায়, তখন হৃৎস্পন্দন অনিয়মিত হয়ে যেতে থাকে যা হৃদ্‌রোগের কারণ হয়ে ওঠে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement