ছবি : সংগৃহীত।
খুশখুশে কিংবা ঘংঘঙে কাশি। তার সঙ্গে নানা ধরনের নাক টানা আর হাঁচির শব্দ একটু কান করলেই শুনতে পাওয়া যাচ্ছে আশপাশে। সময়টাই এমন। আবহাওয়ায় বদল আর ঋতু পরিবর্তনের জন্য একটুতেই ঠান্ডা লাগা, জ্বরভাব দেখা দেয়। সমস্যার মোকাাবিলায় অতিমারির সময় থেকে জনপ্রিয় হয়েছে কাড়া। রোগ প্রতিরোধ শক্তি বর্ধক হিসাবে বিবেচিত এই পানীয় ইদানীং শীতে সর্দি-কাশির সমস্যা থেকে বাঁচতেও খান অনেকে। কিন্তু কাড়ার কি আর কোনও গুণ রয়েছে?
ভারতের প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি মেনে তৈরি এই পানীয় স্বাদে কড়া বলেই সম্ভবত নাম কাড়া। বিভিন্ন মশলা, ঔষধি গুণসম্পন্ন শিকড়-বাকড়, ফল, পাতা জলে ফুটিয়ে তৈরি করা হয় এই পানীয়। এক পুষ্টিবিদ জানাচ্ছেন, পানীয়টির অন্য গুণও রয়েছে।
মুম্বইয়ের পুষ্টিবিদ ডিম্পল জাংরা প্রায়ই আধুনিক জীবনযাপনের সমস্যার নানা ধরনের প্রাকৃতিক সমাধান দিয়ে থাকেন। ডিম্পল বলছেন, ‘‘কাড়া শুধু ঠান্ডা লাগার সমস্যা মেটায় না, তা প্রদাহনাশক, রোগ প্রতিরোধ শক্তিবর্ধক, এমনকি শরীরকে বিষাক্ত পদার্থমুক্ত করতেও সাহায্য করে।’’
১। কাড়ায় পড়ে তুলসী, আদা, গোলমরিচ যা ঋতু পরিবর্তন জনিত অসুস্থতা তো দূরে রাখেই, তার পাশাপাশি শরীরের প্রদাহ কমাতেও সাহায্য করে। শরীরকে জোগান দেয় প্রয়োজনীয় উষ্ণতা। যা বিপাকের হার ভাল রাখতে এবং পরোক্ষে ওজন কমাতেও সাহায্য করতে পারে।
২। আদা এবং গোলমরিচ হজমক্ষমতা ভাল রাখতে সাহায্য করে।
৩। কাড়ায় থাকা হলুদ, দারচিনি কাজে লাগতে পারে আর্থ্রাইটিসের ব্যথা কমাতে। এ ছাড়া নিয়মিত কাড়া খেলে তা গেঁটে বাতের ব্যথা কমাতেও সাহায্য করবে।
৪। কাড়ায় থাকা সমস্ত মশলা এবং ঔষধিতে রয়েছে জোরালো অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। যা শরীরকে দূষিত পদার্থমুক্ত করতে সাহায্য করে। লিভারে জমা ফ্যাট কমাতেও কার্যকরী এই পানীয়।
৫। কাড়ায় থাকা কিছু উপাদান মানসিক চাপ কমাতেও সাহায্য করে। মেজাজ ভাল রাখে।