infertility

কিছুতেই সন্তানধারণ করতে পারছেন না? জরায়ুতে ফাইব্রয়েড বাসা বাঁধেনি তো?

সাধারণত অনিয়মিত ঋতুস্রাব, অত্যধিক রক্তপাত এবং গর্ভধারণে সমস্যা দেখা দিলেই ফাইব্রয়েডস আছে কি না, সেটা পরীক্ষা করে দেখা হয়। কেন হয় এই রোগ?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২২ ১৪:৫১
Share:

সাধারণত ২১ থেকে ৫০ বছর বয়সি মহিলাদের জরায়ুতেই ফাইব্রয়েডের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। ছবি: শাটারস্টক।

বিয়ের পর কেটে গিয়েছে বেশ কয়েক বছর। দু’বছর ধরে সন্তানধারণের পরিকল্পনা করেও সন্তান আসেনি নন্দিতার জীবনে। নানা বাঁকা কথা, গ্লানির পর্ব পেরিয়ে শেষমেশ চিকিৎচকের শরণাপন্ন হয়ে জানা গেল, কারণ আসলে টিউমার। বিনাইন টিউমার, পোশাকি নাম ফাইব্রয়েডস। সাধারণত ২১ থেকে ৫০ বছর বয়সি মহিলাদের জরায়ুতেই এই ধরনের টিউমারের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়।

Advertisement

ফাইব্রয়েডস মূলত তিনটি জায়গায় তৈরি হতে পারে। প্রথমত, জরায়ুর দেওয়ালের বাইরের দিকে, যাকে সাবসেরাস বলে। দ্বিতীয়ত, জরায়ুর দেওয়ালের মধ্যে, যাকে ইন্ট্রামিউরাল বলে এবং তৃতীয়ত জরায়ুর যে অংশ থেকে ঋতুস্রাব হয়, যাকে বলা হয় সাব-মিউকাস। সাব মিউকাস ফাইব্রয়েডসেই বেশি মহিলা আক্রান্ত হন। এর ফলে ঋতুস্রাবের সময়ে পেটে তীব্র যন্ত্রণা হয়, অত্যধিক রক্তক্ষরণ হয় এবং অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যাও শুরু হয়। এই টিউমার শরীরে বাসা বাঁধলে গর্ভপাত হওয়ার আশঙ্কাও বেড়ে যায় কয়েক গুণ।

Advertisement

কী কী উপসর্গ দেখলে সাবধান হবেন?

সাধারণত অনিয়মিত ঋতুস্রাব, অত্যধিক রক্তপাত এবং গর্ভধারণে সমস্যা দেখা দিলেই ফাইব্রয়েডস আছে কি না, সেটা পরীক্ষা করে দেখা হয়। এই রোগের আলাদা কোনও লক্ষণ নেই। তবে, অনেক সময়ে হঠাৎ পেট ফুলে যাওয়াও ফাইব্রয়েডসের লক্ষণ হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, ৭-৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বার জরায়ুর আকার যেমন হয়, এই ক্ষেত্রেও পেটের আকার তেমনই হয়ে যায়। এ ছাড়া, প্রস্রাবের সময় তীব্র যন্ত্রণা, তলপেটে ব্যথাও এই রোগের উপসর্গ।

বাড়িতে মা, মাসি, দিদি-সহ অন্যদের এই সমস্যা থাকলে রোগের ঝুঁকি তুলনামূলক ভাবে বেশি। ছবি: শাটারস্টক।

কাদের ঝুঁকি বেশি?

জরায়ুর ফাইব্রয়েডের সুনির্দিষ্ট কারণ সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি। তবে কয়েকটি ‘রিস্ক ফ্যাক্টর’ থাকলে অসুখের ঝুঁকি বেশি। বাড়িতে মা, মাসি, দিদি-সহ অন্যদের এই সমস্যা থাকলে রোগের ঝুঁকি তুলনামূলক ভাবে বেশি। ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন হরমোন মাসিক ঋতুচক্রের সময়ে জরায়ুর লাইনিং অর্থাৎ, আবরণকে উদ্দীপিত করে। এর ফলে ফাইব্রয়েড তৈরি হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। এ ছাড়া, ছোট ফাইব্রয়েড বেড়ে উঠতে সাহায্য করে এই সব স্ত্রী হরমোন। এই কারণেই সন্তানধারণের বয়সে ফাইব্রয়েডের ঝুঁকি বাড়ে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন