Salman Khan Sleeping Habit

জেলে দারুণ ঘুমিয়েছিলেন! কিন্তু বাড়িতে সলমন ঘুমোন কেবল ২ ঘণ্টা! ঘুমের এমন রুটিন কি ভাল?

বয়স ৫৯। বিয়ে করেননি। সংসারের চিন্তা করতে হয় না। কাজও এখন খুব বেছে করেন। তার পরেও সারা দিনে কী এত করার থাকে সলমনের! কেন ঘুমোন না বাড়িতে?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৬:৪৬
Share:

সলমন খান। ছবি : সংগৃহীত।

তাঁরা তারকা। তাঁদের দৈনন্দিন জীবনযাপনের নিয়ম বাকিদের সঙ্গে মিলবে না— সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তা বলে দিনে দু’ঘণ্টা ঘুম! একটি সাক্ষাৎকারে বলিউডের অভিনেতা সলমন খান তেমনই জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বাড়িতে থাকলে বা কাজে থাকলে সচরাচর তাঁর দু’ঘণ্টার বেশি ঘুম হয় না। একই সঙ্গে সলমন এ-ও বলেছেন যে, যখন তিনি জেলে ছিলেন তখন ভাল ঘুম হয়েছিল তাঁর।

Advertisement

সলমন ওই সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তাঁর ভাইপো আরহান খানকে। আরবাজ় খান এবং মলাইকা আরোরার পুত্র আরহানের একটি প়ডকাস্ট চ্যানেল রয়েছে। নাম দম বিরিয়ানি। সেখানেই অতিথি হয়ে এসেছিলেন কাকা সলমন। তাঁর ঘুমের রুটিন জানতে চাওয়া হলে সলমন বলেন, ‘‘মাসে এক দিন আমার ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম হয়। বাকি ২৯ দিন আমি দিনে দু’ঘণ্টার বেশি ঘুমোতে পারি না।’’ কেন এত কম ঘুমোন? জানতে চাওয়া হলে সলমন জানিয়ে দেন, ঘুমোন তখনই, যখন কিছু করার থাকে না। ঘুমোন না কারণ সব সময়েই তাঁর কিছু না কিছু করার থাকে!

কখন ঘুমোন সলমন?

Advertisement

ছবি: সংগৃহীত।

বয়স ৫৯। বিয়ে করেননি। সংসারের চিন্তা করতে হয় না। কাজও এখন খুব বেছে করেন। তার পরেও সারা দিনে কী এত করার থাকে সলমনের! সেই প্রসঙ্গ উহ্য রেখেই সলমন খান বলেছেন, ‘‘ভাল ঘুমিয়েছিলাম জেলে। তখন সারা দিন কিছুই করার থাকত না। তাই ঘুমোতাম। আর এখন যখন বিমানে থাকি, তখন মাঝেসাঝে প্লেনে প্রচণ্ড ঝাঁকুনি হলেও আমি ঘুমোই। কারণ তখনও কিছু করার থাকে না।’’

ঘুমের এমন অদ্ভুত নিয়ম এর আগে বলিউডের আরও এক অভিনেতা নিজে মুখেই স্বীকার করেছিলেন। তিনি শাহরুখ খান। এক সাক্ষাৎকারে শাহরুখ জানিয়েছিলেন, তিনি ভোর ৫টার সময় ঘুমোতে যান। এবং সকাল ৯টায় উঠে পড়েন। ঘুমের এমন অভ্যাসকে ইর‌্যাটিক স্লিপ বলে উল্লেখ করেছেন চিকিৎসকেরা।

আদর্শ ঘুম কেমন হওয়া উচিত?

একজন সুস্থ সবল প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দিনে অন্তত ৭ ঘণ্টা ঘুম দরকার বলে মনে করেন স্নায়ুরোগের চিকিৎসক সুধীর কুমার। তিনি বলছেন, ‘‘৭-৯ ঘণ্টা ঘুমের কথা বলে থাকি আমরা। আর সেই ঘুম একটানা হওয়াই বাঞ্ছনীয়। বারে বারে ভেঙে ভেঙে ঘুমোলে, তাতে আদতে লাভ হয় না। তা ছাড়া কম ঘুমোলে, হাইপারটেনশনের সমস্যা বাড়তে পারে। বাড়তে পারে হৃদরোগ এবং এক বিশেষ ধরনের ক্যানসারের ঝুঁকিও।’’

ছবি: সংগৃহীত।

কম ঘুমোলে কী কী সমস্যা হতে পারে?

কম ঘুমোলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় মনযোগের। এ ছাড়া অবসাদ, স্মৃতিভ্রম, মাথাধরার সমস্যা, মনমেজাজ বিগড়ে থাকা, ডিমেনশিয়ার মতো রোগও হতে পারে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা বলছেন, যাঁরা গাড়ি চালান, ঘুম ঠিকমতো না হলে তাঁদের হাতে দুর্ঘটনা ঘটার ঝুঁকিও থাকে।

ঘুম কি শুধু রাতেই ভাল?

ঘুম রাতে হলেই ভাল এমনটা জোর দিয়ে বলছেন না চিকিৎসকেরা। বরং তাঁরা বলছেন যে সময়েই ঘুমোন সেই সময় নিয়মিত বজায় রাখা দরকার। যদি কেউ সকালে ঘুমোতে যান, তবে তিনি নিয়মিত ওই সময়েই ঘুমোলে এবং প্রয়োজনমতো ৭ ঘণ্টা ঘুমোলে অসুবিধা নেই। তাতে শরীরে কোনও খারাপ প্রভাব পড়বে না। তবে ঘুমের সময়ের যদি কোনও ঠিক না থাকে, তা হলে মুশকিল হতে পারে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement