Healthy Food Habits

স্বাস্থ্যের কথা ভেবে কুমড়োর বীজ নিয়মিত খাচ্ছেন? কাদের জন্য অভ্যাসটি মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়

কেউ প্রাতরাশে ওট্‌সের সঙ্গে মিশিয়ে কুমড়োর বীজ খান, কেউ আবার অফিসে কৌটোয় ভরে এই বীজ রেখে দেন। সন্ধেবেলা খিদে পেলে মুঠো করে খেয়ে নিলেই পেট ভর্তি। তবে উপকারী বলেই যে মুঠো মুঠো খাবেন সেটা কিন্তু মোটেও ঠিক নয়। খাওয়ার উপায় জেনে নিন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৮:০১
Share:

কুমড়োর বীজ কারা খাবেন না? ছবি: সংগৃহীত।

সব্জি হিসাবে কুমড়ো অনেকেরই অপছন্দের। কিন্তু স্বাস্থ্য সচেতনদের মধ্যে কুমড়োর বীজের কদর ইদানীং বেড়েছে। বিকেলের স্বাস্থ্যকর জলখাবারে আজকাল হামেশাই এই বীজের দেখা মেলে। কেউ প্রাতরাশে ওট্‌সের সঙ্গে মিশিয়ে এই বীজ খান, কেউ আবার অফিসে কৌটোয় ভরে এই বীজ রেখে দেন। সন্ধেবেলা খিদে পেলে মুঠো করে খেয়ে নিলেই পেট ভর্তি। যাঁরা নিয়ম মেনে ডায়েট করেন, তাঁরাও অনেকে রোজ কুমড়োর বীজ খেয়ে থাকেন। ভিটামিন এ-র উৎস হল কুমড়ো। ভিটামিন এ চোখের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে উপকারী বলেই যে মুঠো মুঠো খাবেন সেটা কিন্তু মোটেও ঠিক নয়।

Advertisement

কতটা খাওয়া চলে?

আমেরিকার হার্ট অ্যাসোসিয়েশন বলছে, দিনে একজন প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ মানুষ ২৮-৩০ গ্রাম কুমড়ো বীজ খেতে পারেন। তবে কিডনি বা লিভারের সমস্যা থাকলে শুধু কুমড়ো নয়, যে কোনও বীজ খাওয়ার আগেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। কুমড়ো বীজের যতই পুষ্টিগুণ থাক, মাপের বেশি খেলে তা স্বাস্থ্যের ক্ষতিও করতে পারে।

Advertisement

কী কী সমস্যা হতে পারে?

হজমের সমস্যা: কুমড়ো বীজে ফাইবার থাকে। তা পেটের জন্য ভাল হলেও বেশি খেলে গ্যাস, পেটভার করতে পারে। এতে ফ্যাটি অ্যাসিড, তেল থাকে। পরিমাণের বেশি হলে তা হজম করা সম্ভব হবে না।

ওজন বৃদ্ধি: ওজন বশে রাখতে অনেকেই খাবার তালিকায় বীজ রাখেন। তবে ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ বীজ বেশি খেলে ওজন বাড়তেও পারেন। বীজে যথেষ্ট ক্যালোরি থাকে। মেদ ঝরাতে গেলে সারা দিনে খাবার এবং ক্যালোরির মাপ ঠিক থাকা দরকার।

রক্তচাপ: রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে কুমড়ো বীজে থাকা উপাদান। রক্তচাপ কম হলে ডায়েটে এটি রাখার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার।

অ্যালার্জি: কারও যদি কুমড়ো বীজে অ্যালার্জি থাকে তা হলে পেটব্যথা, মাথাব্যথার মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে। ত্বকে চুলকানি, র‌্যাশের মতো সমস্যাও হতে পারে এতে।

ছোটদের নয়: উপকারী বলে ছোটদের কিন্তু তা খাওয়ানো চলে না। এতে থাকা ফাইবার, ফ্যাটি অ্যাসিডের জন্য অনেক সময় তাদের পেটব্যথা, হজমে সমস্যা দেখা দিতে পারে।শিশুদের কিছু খাওয়াতে গেলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement