Dehydration

শরীরে জলের ঘাটতি হলেই বাসা বাঁধবে হাজারটা রোগ! কোন কোন লক্ষণ দেখলে সতর্ক হবেন?

জল শুধু শরীরে আর্দ্রতা বজায় রাখে না, পরিপাকতন্ত্র ও শ্বাসযন্ত্রকে ভাল রাখতেও জল অপরিহার্য। শরীরে জলের অভাব হলে, শরীর নিজে থেকেই সেই সঙ্কেত দেয় আমাদের। কোন উপসর্গ দেখলে সতর্ক হবেন?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০২৩ ১২:২৬
Share:

শরীরের কোন উপসর্গগুলি দেখলে বুঝবেন, বেশি করে জল খেতে হবে? ছবি: শাটারস্টক।

সারা দিন কাজের চাপে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেতে ভুলে যান অনেকেই। অনেকে গরমকালে বোতল বোতল জল খাওয়া শুরু করলেও বর্ষা এলেই আবার জল খাওয়া কমিয়ে দেন। জলের মাধ্যমেই বেশির ভাগ শারীরবৃত্তীয় কাজ সম্পন্ন হয়। শরীরে দৈনন্দিন জলের যে চাহিদা, তা পূরণ না হলে হাজারো শারীরিক গোলমাল শুরু হয়ে যায়। জল শুধু শরীরে আর্দ্রতা বজায় রাখে না, পরিপাকতন্ত্র ও শ্বাসতন্ত্রকে সুসংগঠিত রাখতেও জল অপরিহার্য। শরীরে জলের অভাব হলে, শরীর নিজে থেকেই সেই সঙ্কেত দেয় আমাদের। সেই লক্ষণগুলি চিনতে পারলেই বোঝা যাবে যে, শরীরে জলের অভাব মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছেছে।

Advertisement

কী কী উপসর্গ দেখলে বেশি করে জল খাওয়া শুরু করতে হবে?

১) শরীরে জলের অভাব হলে বর্ষার মরসুমেও ত্বক শুষ্ক দেখায়, শুধু তা-ই নয়, ঠোঁট ফাটতে শুরু করে। হঠাৎ করে ত্বক রুক্ষ বোধ করতে শুরু করলে এবং ত্বকে ব্রণ ও চুলকানির সমস্যা দেখা দিলে বুঝতে হবে, শরীরে জলের ঘাটতি হচ্ছে।

Advertisement

২) প্রস্রাবের রং লক্ষ করুন। হলুদ প্রস্রাব হলে বুঝতে হবে, শরীরে জলের অভাব রয়েছে। এ ছাড়াও শরীরে জলের ঘাটতির কারণে প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায় এবং প্রস্রাব করার সময় জ্বালা বোধ হয়। এই সব উপসর্গ দেখলেই সতর্ক হোন।

৩) মুখে হঠাৎ দুর্গন্ধ হচ্ছে? শরীরে জলের ঘাটতি হলে শ্বাসকষ্টের পাশাপাশি মুখে দুর্গন্ধও হতে পারে। জল মুখে পর্যাপ্ত পরিমাণে লালা উৎপাদনে সাহায্য করে। যা নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধের জন্য দায়ী ব্যাক্টেরিয়াগুলি নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।

৪) ডিহাইড্রেশন হলেই ঘন ঘন জল তেষ্টা পায়। বার বার জল খেলেও তৃপ্তি আসে না। সে ক্ষেত্রে সাধারণ জলের পরিবর্তে লেবু-জল বা ইলেক্ট্রলযুক্ত জল পান করলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

শরীরের কোন উপসর্গগুলি দেখলে বুঝবেন, বেশি করে জল খেতে হবে? ছবি: শাটারস্টক

৫) শরীরে জলের অভাব হলে অনেক সময় রক্তচাপ কমে যেতে পারে। অকারণে মাথাব্যথাও হতে পারে। সারা ক্ষণ আলস্য ও ক্লান্তি অনুভব করতে পারেন।

৬) জলের অভাবে শরীরে রক্তের পরিমাণ কমে যায়, তাই সমস্ত অঙ্গে পর্যাপ্ত রক্ত পৌঁছে দিতে হৃদ্‌যন্ত্রকে আরও বেশি পরিশ্রম করতে হয়। ফলে হৃদ্‌যন্ত্রের উপর চাপ পড়ে। হঠাৎ করে হৃদ্‌স্পন্দন এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের হার বেড়ে যায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন