ছবি : সংগৃহীত।
কী খাচ্ছেন যেমন জরুরি, তেমনই কী ভাবে খাচ্ছেন, সেটাও দেখা জরুরি। অন্তত বয়স বাড়লেও যদি রোগ দূরে রাখতে হয়। বয়সজনিত সমস্যা দূরে রাখতে চাইলে এই বিষয়টি মাথায় রাখতেই হবে বলে জানাচ্ছেন এক মেডিসিনের চিকিৎসক, যিনি দীর্ঘায়ু নিয়ে গবেষণা করেন।
আমেরিকার নিউ মেক্সিকোর বাসিন্দা ওই চিকিৎসকের নাম সুজ়ান ফেরে। সমাজমাধ্যমে সম্প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে তাঁকে বলতে শোনা যাচ্ছে, বয়স বৃদ্ধির পরেও ভাল ভাবে বাঁচতে হলে এবং রোগমুক্ত থাকতে হলে খাওয়াদাওয়াকেই সবার আগে নিয়মে বাঁধতে হবে। আর সেই নিয়মেরই কয়েকটি বর্ণনা করতে গিয়ে খাবার খাওয়ার ক্রম নিয়ে কথা বলেছেন সুজ়ান।
দীর্ঘ দিন সুস্থ শরীরে বাঁচার জন্য কী করতে হবে?
সুজ়ান বলেছেন, ‘‘বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে চেষ্টা করবেন নানা রঙের খাবার থালায় রাখতে। তবে তার থেকেও জরুরি হল কী ভাবে ওই খাবার খাচ্ছেন, কোন খাবারটির পরে কোনটি খাচ্ছেন। তার উপর নির্ভর করে শরীর কতটা পুষ্টি পাবে, খাবার হজম করতে পারবে কি না। শরীরে ওই খাবার যাওয়ার পরে কী প্রতিক্রিয়া হবে।’’
কেন এটি মাথায় রাখা জরুরি?
বয়স বাড়লে রোগ প্রতিরোধ শক্তি যখন ক্রমশ দুর্বল হতে শুরু করে, তখন ধীরে ধীরে নানা সমস্যা মাথা তুলতে শুরু করে শরীরে। বিভিন্ন জরুরি পুষ্টির অভাব দেখা দেয়। যা নিয়ম মেনে খাওয়াদাওয়া করে সামাল দিতে হয়। সুজ়ান বলছেন, ‘‘পুষ্টির অভাব পূরণ করবেন বলে খাবার খেলেন অথচ তা কাজেও লাগল না, তাতে কোনও লাভ হবে না।’’ তাই ক্রম মেনে খাবার খেতে বলছেন সুজ়ান।
কোন ক্রমে খেতে হবে খাবার?
সুজ়ান জানাচ্ছেন, যে কোনও খাবার খাওয়ার সময়েই প্রথমে সব্জি খেতে হবে, তার পরে প্রোটিন জাতীয় খাবার এবং শেষে খেতে হবে কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা। তা পানীয় হলেও শেষেই খেতে হবে। সুজ়ান বলছেন, ‘‘এই ক্রম মেনে খাবার খাওয়াকে বলা হয় মিল সিকোয়েন্সিং। যা রক্তে শর্করার হঠাৎ বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে। আর এই একটি বিষয়ের সঙ্গে শরীরের হাজার রোগের সুতো বাঁধা আছে। তাই এটি ঠিক রাখা হলে অনেক রোগ দূরে রাখা যাবে।’’