অবসাদ কমবে, পুজোয় মন ভাল রাখার কিছু উপায় রইল। ছবি: ফ্রিপিক।
দিনভর কাজের চাপে অস্থির। রাতে ঘুমোতেও যাচ্ছেন দেরিতে। নিশ্চিন্তে যে ঘুমোবেন তারও উপায় নেই। ঘরে-বাইরে কাজ সামলে একরাশ দুশ্চিন্তা, উদ্বেগের মেঘও জমছে মনে। ঘুম চোখ খোলা মাত্রই সেই সব চিন্তাভাবনা ফের ঘিরে ধরছে আপনাকে। ফলে সকাল থেকেই বিগড়ে যাচ্ছে মনমেজাজ। কেউ চেঁচামেচি করে ফেলছেন আপনজনেদের উপরেই, আবার কেউ সারা দিন খিটখিটে মেজাজ নিয়েই থাকছেন। কোনও কাজেই মন বসছে না। অবসাদ যেন চেপে বসছে প্রতি দিন। পুজো আসছে। এই সময়ে মন ভাল রাখতেই হবে। যাবতীয় দুশ্চিন্তা, উদ্বেগ কাটিয়ে মন ভাল রাখার কিছু উপায় জেনে রাখুন।
ছোটবেলার মতো কমিকস পড়ুন
মন অশান্ত থাকলে ধৈর্য রাখাটা খুব কঠিন। দুশ্চিন্তা সহজে দূর করা যায় না। মনোবিদেরা বুঝিয়ে বলছেন, মন নিমেষে ভাল করার উপায় হল হাসি। প্রাণ খুলে হাসুন। যদি দেখেন মেজাজ ভাল নেই, তা হলে ‘জোকস’ পড়ুন অথবা কমেডি শোয়ের কোনও ক্লিপিং দেখুন। দেখবেন, কিছু ক্ষণের জন্যও মন থেকে দুশ্চিন্তাগুলি মুছে গিয়েছে।
সকাল বেলা শরীরচর্চা
দিনের শুরুটা যদি শরীরচর্চা দিয়ে হয়, তা হলে গোটা দিনটাই শরীর ও মন তরতাজা থাকবে। যাঁরা জিমে যান, তাঁদের রুটিন মেনে শরীরচর্চা করান ফিটনেস প্রশিক্ষকেরাই। আর যদি জিমে যাওয়ার সময় না থাকে, তা হলে বাড়িতেই করতে পারেন যোগাসন, প্রাণায়াম। তারও সময় না থাকলে হাঁটুন। বাড়ির সামনে, ছাদে যেখানে সুবিধা হাঁটাহাঁটি করতে পারেন। তাতেও শরীর ভাল থাকবে।
ফুড ডায়েরি
মানসিক চাপ কমাতে ভুলভাল খেতে শুরু করবেন না। এতে বিপদ বাড়বে। তখন উদ্বেগ কমাতে পারে যে সব স্বাস্থ্যকর খাবার, তা অল্প করে নিয়ে খাবারের স্বাদ-গন্ধ উপভোগ করে ধীরেসুস্থে খান। যাকে বলে ‘মাইন্ডফুল ইটিং’। খাওয়ার আনন্দ পাবেন, উদ্বেগ কমবে, পুষ্টিও পাবে শরীর। ভিটামিন ই সমৃদ্ধ ব্রাজিল নাট ও কাঠবাদাম খান। সপ্তাহে অন্তত দু’বার তৈলাক্ত মাছ খান। সয়াবিন, আখরোট, তিসির বীজ, চিয়া বীজ রাখার চেষ্টা করুন ডায়েটে। চিকেন, ডিম, চিজ, মাছ, বাদাম, কুমড়ো বীজ, তিল, দুধ, কলা খান মাত্রা রেখে।
কাজের তালিকা
সকাল সকাল কাজের তালিকা তৈরি করে ফেলুন। কোন কাজ কখন করবেন, ঠিক সময়ে তা শেষ হবে কি না, কিংবা এত কাজের মধ্যে কোনওটি যদি করতে ভুলে যান— এই সব নিয়ে অনেকের মধ্যেই উদ্বেগ দেখা দেয়। তাই মনোবিদেরা বলেন, কাজের সুনির্দিষ্ট তালিকা তৈরি করে নেওয়া জরুরি। তা হলেই কোনটা করছেন আর কোনটা ভুলে যাচ্ছেন, বুঝতে পারবেন নিজেই। অকারণে উদ্বেগ তৈরি হবে না।