Motherhood After 30

৩৫ পেরিয়ে মা হওয়ার ভাবনা? কী করলে বাড়ে সন্তানধারণের সম্ভাবনা? কোন কাজ করবেন না?

চাকরি, সামাজিকতা, শখ— সব সামলে মা হওয়ার বয়স স্বাভাবিক ভাবেই পিছিয়েছে। ৩০ পেরিয়ে গেলে গর্ভধারণে কি ঝুঁকি রয়েছে? কী ভাবে সামাল দেবেন বিষয়টি?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০২৩ ১৬:২৭
Share:

৩০ পেরিয়ে সন্তানধারণের আগে প্রথম থেকেই কিছু সাবধানতা অবলম্বন করা হয়, যাতে মা ও শিশু সুস্থ থাকে। ছবি: শাটারস্টক।

চিকিৎসকদের মতে, বয়সের কারণে সন্তানধারণের ক্ষেত্রে মা ও সন্তানের কয়েকটি ঝুঁকি রয়ে যায়। তবে তা সম্পূর্ণই নির্ভর করে মায়ের শারীরিক অবস্থার উপরে। তিনি আগে মা হয়েছেন কি না এবং তাঁর কোনও ক্রনিক রোগ রয়েছে কি না, সেটিও এ ক্ষেত্রে বিবেচ্য। যেমন, মায়ের ভেনাস থ্রম্বোসিস (রক্ত জমাট বাঁধা), জেস্টেশনাল ডায়াবিটিস, হাইপারটেনশন রয়েছে কি না, তা দেখতে হবে। সদ্যোজাতর ক্ষেত্রে যে সমস্যাগুলি হতে পারে, তা হল প্রিম্যাচিয়োর বার্থ, ডাউন সিনড্রোম, লো বার্থ ওয়েট।

Advertisement

৩০ পেরিয়ে সন্তানধারণের আগে প্রথম থেকেই কিছু সাবধানতা অবলম্বন করা হয়, যাতে মা ও শিশু সুস্থ থাকে। কী কী সতর্কতা মেনে চলতে হবে?

স্বাস্থ্যকর খাবার: সন্তানধারণের পরিকল্পনা শুরু করলে সকলের আগে বাইরের ‘জাঙ্ক ফুড’ খাওয়া বন্ধ করতে হবে। সন্তানধারণের জন্য শরীরকে প্রস্তুত করার জন্য সবার আগে ডায়েটে প্রচুর পরিমাণে ফল ও শাকসব্জি, জটিল কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং ভাল চর্বিযুক্ত খাবার রাখতে হবে। ধূমপান ও মদ্যপান একেবারেই ছেড়ে ফেলতে পারলে ভাল। অতিরিক্ত চা, কফি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তাতেও রাশ নাটতে হবে।

Advertisement

মানসিপ চাপ দূর করা: সন্তানধারণের ইচ্ছা থাকলে সবার আগে মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকতে হবে। মানসিক চাপ বাড়লে ধতুচক্র অনিয়মিত হয়ে পরে। ফলে সন্তানধারণের সম্ভাবনা কমে আসে। তাই মনকে শান্ত রাখতে যোগাসন, ধ্যান শুরু করতে পারেন।

সঙ্গমে মন: সমীক্ষা অনুসারে, যে দম্পতিরা প্রতি দিন সঙ্গম করেন, তাঁদের সন্তানধারণের সম্ভাবনা বেশি। সন্তানধারণ করতে হবে এই চিন্তা মাথায় নিয়ে নয়, মিলন উপভোগ করুন, তা হলেই দ্রুত ফল পাবেন।

মাস ছয়েক চেষ্টার পরেও সন্তানধারণে সক্ষম না হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। ছবি: শাটারস্টক।

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা: মহিলাদের ক্ষেত্রে স্থূলতা ও ডায়াবিটিস অনিয়মিত ঋতুস্রাব এবং অকাল ঋতুবন্ধের সমস্যা ডেকে আনে। তা ছাড়াও ডায়াবিটিস থাকলে গর্ভপাতের ঝুঁকি, সময়ের আগেই প্রসব এবং বন্ধ্যত্বজনিত সমস্যা বাড়ে। তাই স্থূলতার সমস্যা থাকলে নিয়মিত শরীরচর্চা শুরু করুন।

চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ: মাস ছয়েক চেষ্টার পরেও সন্তানধারণে সক্ষম না হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে শারীরবৃত্তীয় সমস্যা থাকতে পারে। পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম, হরমোনজনিত সমস্যা, প্রারম্ভিক মেনোপজ, ফ্যালোপিয়ান টিউব বাধা বা জরায়ুতে গঠনগত অস্বাভাবিকতা-সহ বিভিন্ন কারণে মহিলা ডিম্বস্ফোটন করতে ব্যর্থ হন। এন্ডোমেট্রিওসিস এবং জরায়ু ফাইব্রয়েড থাকলেও প্রজনন ক্ষমতা প্রভাবিত হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন