Sawan 2024 Fasting Rules

শ্রাবণ মাসের সোমবারে উপোস করবেন? সারা দিন না খেয়েও শরীর চাঙ্গা রাখবেন কী ভাবে

উপোস করলে কিন্তু শরীরের প্রতিও বাড়তি যত্ন নিতে হবে। ঘরে ঘরে এখন উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবিটিসের রোগী। কী কী নিয়ম মানলে শরীর সুস্থ থাকবেন তাঁরা, রইল হদিস।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪ ১৭:১৩
Share:

উপোস করুন, তবে নিয়ম মেনে। ছবি: সংগৃহীত।

শ্রাবণ মাসের সোমবারে অনেক বাঙালি বাড়িতেই উপোস করার চল রয়েছে। শিব ঠাকুরের মাথায় জল ঢেলে কেউ কেউ উপোস ভেঙ্গে দেন, কেউ কেউ আবার সারা দিন নির্জলা উপোস করেন। ধর্ম আচরণের অঙ্গ হিসাবে উপবাস করার প্রথা সব ধর্মের সঙ্গেই কমবেশি জুড়ে রয়েছে। উপোস করে পুজো দিলেই কি ভগবান প্রসন্ন হবেন আর অন্যথায় নয়— এ বিতর্ক বহু দিনের। কে কী ‌ভাবে পুজো করে সন্তুষ্ট হবেন, তা তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়। তবে উপোস করলে কিন্তু শরীরের প্রতিও বাড়তি যত্ন নিতে হবে। ঘরে ঘরে এখন উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবিটিসের রোগী। কী কী নিয়ম মানলে শরীর সুস্থ থাকবেন তাঁরা, রইল হদিস।

Advertisement

১) উপোস করলেও চেষ্টা করুন একেবারে নির্জলা উপোস না করার। উপোসের সময় বিভিন্ন রকম ফল খাওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া খাবারের তালিকায় নারকেল, কাজু বাদাম, কাঠবাদাম, খেজুর, আখরোটও রাখতে পারেন। দই খেতে পারেন। দুধ কিংবা দই দিয়ে সাবুমাখাও খেতে পারেন। এই ধরনের খাবারগুলি খেলে উপোসকালীন অবস্থাতেও শরীর চাঙ্গা থাকবে।

২) উপোসের দিনগুলিতে সুস্থ থাকতে বার বার জলে চুমুক দিতে হবে। জল খেলে পেট ভর্তিও থাকবে আর খিদেও কম পাবে। ডিহাইড্রেশন হলে শরীর ঝিমিয়ে পড়ে, কাজ করতে ভাল লাগে না। বার বার জল খেলে শরীর চাঙ্গা থাকবে। ডাবের জল কিংবা আখের রসও খেতে পারেন, শরীর ঠিক রাখতে।

Advertisement

৩) উপোসের সময় খালি পেটে থাকার কারণে অনেকের মনেই মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছে হয়। তাই উপোস ভাঙার পর সন্দেশ, মিষ্টির দিকেই প্রথম নজর পড়ে। অথচ এই অভ্যাসের কারণে এতে রক্তের শর্করাক মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। উপোসের সময় মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করলে খেজুর দিয়ে তৈরি মাখানার পায়েস, ফলের রায়তা, কলার স্মুদি খেতে পারেন। সাবুমাখা হোক কিংবা ঘোলে, চিনি ব্যবহারের পরিবর্তে গুড় ব্যবহার করুন।

৪) ভাজাভুজি, তৈলাক্ত বা মশলাদার কোনও খাবার খেয়ে উপোস ভাঙবেন না। অনেকেই উপোসের পর লুচি, পরোটা খান। সারা দিন খাবার ও জলের অভাবে শরীরে ডিহাইড্রেশন হয়। তার উপর অতিরিক্ত তেল-মশলাযুক্ত খাবার খেলে শরীর আরও জল টানবে। শরীরে অস্বস্তিবোধ হবে। উপোস ভাঙার পর সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন জল খাওয়া। তাই অল্প অল্প জল খেতে থাকুন।

৫) উপোস করলে পর্যাপ্ত ঘুম যাতে হয় সে দিকে নজর রাখুন। আগের রাতে অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমোন। ঘুম সম্পূর্ণ হলে খিদে কম পাবে, শরীরও চাঙ্গা থাকবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement