রাখি সবন্ত। ছবি: সংগৃহীত।
বুকে এবং পেটে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন রাখি সবন্ত। একাধিক পরীক্ষার পর চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, রাখির জরায়ুতে টিউমার হয়েছে। তবে অভিনেত্রী ক্যানসারে আক্রান্ত কিনা, সেটা জানা যাবে বেশ কিছু শারীরিক পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে এলে।
ক্যানসারের ঝুঁকি ইদানীং অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। বিশেষ করে মহিলাদের জরায়ুর ক্যানসার ক্রমশ মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। জরায়ুতে টিউমার হলে সেখান থেকেই ক্যানসারের ঝুঁকি তৈরি হয়। সাধারণত ২১ থেকে ৫০ বছর বয়সি মহিলাদের জরায়ুতে এই ধরনের টিউমারের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়।
টিউমার মূলত জরায়ুর তিন জায়গায় হয়। প্রথমটি, জরায়ুর দেওয়ালের বাইরে। যাকে সাবসেরাস বলা হয়। দ্বিতীয়ত, জরায়ুর দেওয়ালের মধ্যে, যাকে ইন্ট্রামিউরাল বলে এবং তৃতীয়ত জরায়ুর যে অংশ থেকে ঋতুস্রাব হয়, তাকে বলা হয় সাব-মিউকাস। সাব-মিউকাস ফাইব্রয়েডসেই বেশি মহিলা আক্রান্ত হন। এর ফলে ঋতুস্রাবের সময়ে পেটে তীব্র যন্ত্রণা হয়, অত্যধিক রক্তক্ষরণ হয় এবং অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যাও শুরু হয়। এই টিউমার শরীরে বাসা বাঁধলে গর্ভপাত হওয়ার আশঙ্কাও বেড়ে যায় কয়েক গুণ।
কাদের ঝুঁকি বেশি?
জরায়ুতে টিউমারের কারণ সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি। তবে কিছু ক্ষেত্রে অসুখের ঝুঁকি বেশি। পরিবারের কারও এই সমস্যা থাকলে রোগের ঝুঁকি তুলনামূলক ভাবে বৃদ্ধি পায়। ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন হরমোন মাসিক ঋতুচক্রের সময়ে জরায়ুর আবরণকে উদ্দীপিত করে। এর ফলে টিউমার তৈরি হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। এই সব হরমোনই ছোট ফাইব্রয়েড বেড়ে উঠতে সাহায্য করে।
সতর্ক হবেন কোন লক্ষণগুলি দেখলে?
সাধারণত অনিয়মিত ঋতুস্রাব, অত্যধিক রক্তপাত এবং গর্ভধারণে সমস্যা দেখা দিলেই ফাইব্রয়েডস আছে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখা হয়। এই রোগের আলাদা কোনও লক্ষণ নেই। তবে অনেক সময়ে হঠাৎ পেট ফুলে যাওয়াও ফাইব্রয়েডসের লক্ষণ হতে পারে।
অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, ৭-৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বার জরায়ুর আকার যেমন হয়, এ ক্ষেত্রেও পেটের আকার তেমনই হয়ে যায়। এ ছাড়া, প্রস্রাবের হার বেড়ে যাওয়া, প্রস্রাবের সময়ে তীব্র যন্ত্রণা, তলপেটে ব্যথাও এই রোগের উপসর্গ।