Ovarian cyst

তলপেটে যন্ত্রণা, খাওয়ার পরেই পেট ফাঁপা, অম্বল না-ও হতে পারে, কোন ৫ লক্ষণ দেখে সতর্ক হবেন মেয়েরা?

পেটে ব্যথা মানেই তা গ্যাস-অম্বলের সমস্যা না-ও হতে পারে। ডিম্বাশয়ে সিস্টের কারণেও তলপেটে যন্ত্রণা হয়। ব্যথার ধরন ও কিছু লক্ষণ দেখে সতর্ক হতে হবে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৩:৫১
Share:

পেটে ব্যথা আর কোন কোন লক্ষণ দেখে সতর্ক হবেন মেয়েরা? ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।

তলপেটে মাঝেমধ্যেই যন্ত্রণা। ভারী খাবার খাওয়ার পরে পেট ভার, পেট ফাঁপার সমস্যা হলে অনেকেই ভেবে নেন গ্যাস-অম্বলের কারণে হচ্ছে। মহিলাদের ক্ষেত্রে পেটে ব্যথার অনেক ধরন আছে। সাধারণত তলপেটে ক্রনিক ব্যথা, পেটের একদিক থেকে ব্যথা ছড়াতে থাকলে, তার কারণ গ্যাসের সমস্যা না-ও হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে এই ব্যথার কারণ হয় ডিম্বাশয়ের সিস্ট বা ‘ওভারিয়ান সিস্ট’।

Advertisement

এই ধরনের সিস্ট ডিম্বাশয়ের ভিতরে হয়। থলির মতো মাংসল পিণ্ড তৈরি হয়, যার ভিতরে রক্ত বা যে কোনও ধরনের ফ্লুইড থাকতে পারে। সিস্টের ধরন টিউমারের মতো হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তা বিনাইন অর্থাৎ ক্যানসার সৃষ্টিকারী উপাদান থাকে না। যদি তা ক্যানসারের দিকে বাঁক নেয়, তা হলে সিস্টের ভিতরের দেওয়াল পুরু হয়ে উঠবে ও সেখানকার কোষের অনিয়মিত বিভাজন শুরু হবে। সিস্টের থলি ফেটে গিয়ে পুঁজ বা রক্ত বেরোতে থাকবে। সেই সময়ে পেটে ব্যথা তীব্র হবে, প্রস্রাবের সময়ে জ্বালাযন্ত্রণা হবে।

পিসিওএস (পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম) যাঁদের আছে, তাঁদের ‘ওভারিয়ান সিস্ট’ হওয়ার ঝুঁকি বেশি। পিসিওএস-এ ওজন অতিরিক্ত বেশি হয়ে গেলে, তখন ঝুঁকি বাড়ে। এন্ডোমেট্রিওসিস থাকলেও সিস্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকে। হরমোন থেরাপি যাঁরা করিয়েছেন বা করাচ্ছেন, তাঁদেরও জরায়ুতে সিস্ট হওয়ার ঝুঁকি বেশি।

Advertisement

কোন কোন লক্ষণ দেখলে সতর্ক হবেন?

পেটের নীচের দিকে অথবা যে কোনও একটি দিক থেকে ব্যথা শুরু হবে। মাঝেমধ্যে ব্যথার তীব্রতা বাড়বে। তলপেট ভারী হয়ে থাকা, পেট ফুলে থাকার অনুভূতি হবে।ঋতুস্রাবের সময়ে যন্ত্রণা বাড়বে।শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বিগড়ে যাবে। ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টেরন হরমোনের ক্ষরণে তারতম্য দেখা দেবে। খিদে কমে যাবে, কিছু খেলেই বমি ভাব থাকবে। ক্লান্তি বাড়বে, সর্বক্ষণ ঝিমুনি হবে। ওজন হঠাৎ করে বেড়ে যেতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিতে।

সিস্ট ভয়ের কি না তা জানতে কিছু টিউমার মার্কার টেস্ট করা হয়। ডিম্বাশয়ের সিস্ট বিনাইন না ম্যালিগন্যান্ট জানতে সিএ১২৫ রক্ত পরীক্ষা করা হয়। আলট্রাসাউন্ডের মাধ্যমে সিস্টের জল বার করে নেওয়া হয়। ক্যানসার হলে সার্জারি করে সিস্ট বাদ দিতে হয়। বড় সিস্ট অস্ত্রোপচারে বাদ না দিলে অন্যান্য অঙ্গের ক্ষতি হতে পারে। সাধারণ সিস্টের মধ্যে রক্ত চলাচলের শিরা ছিঁড়ে রক্ত জমলে হেমারেজিক সিস্ট হতে পারে। পাঁচ সেন্টিমিটারের কম সিস্টের জন্য কিছু করতে হয় না। তার চেয়ে বড় সিস্ট যন্ত্রের সাহায্যে বাদ দেওয়া হয়। শুধু তরল বার করে নিলে কিন্তু সেই সিস্ট আবার তরলে ভরে উঠতে পারে। বড় সিস্ট অস্ত্রোপচারে বাদ না দিলে অঙ্গগুলির ক্ষতি হয়। এ ক্ষেত্রে ল্যাপরোস্কোপিক সার্জারি করেন চিকিৎসকেরা। এই ধরনের অস্ত্রোপচারে ঝুঁকি কম। খুব তাড়াতাড়ি স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেন রোগী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement