Lachanophobia Disease

শাকসব্জি দেখলেই ভয়, থরথর করে কাঁপুনি ধরে,আতঙ্কে অজ্ঞানও হয়ে যেতে পারেন, কী এই বিরল অসুখ?

শাকসব্জি দেখলেই ভয় লাগে? খেতে বললে উদ্বেগ বেড়ে যায়। আতঙ্কে হাত-পা ঠান্ডাও হয়ে যায়। কী এই রোগ?

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২৫ ১৮:০৮
Share:

সব্জি-আতঙ্ক বিরল এক রোগ, কাদের হয়? ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।

শাকপাতা দেখলেই আতঙ্ক শুরু হয়। সব্জি দিয়ে তৈরি কোনও রান্না খেতে দিলে তাঁরা তো ভয়েই মরবেন। কাঁচা শাকসব্জির সামনে গেলেই অজানা উদ্বেগ চেপে বসবে মনে। হাত-পায়ে কাঁপুনি ধরতে পারে, আতঙ্কে জ্ঞানও হারাতে পারেন। শুনতে আজগুবি মনে হলেও এমন অসুখ কিন্তু আছে। হাতেগোনা কিছু মানুষের হয়। ব্রিটেনে এক বার এমনই একটি মেয়ের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল, যাঁর সব্জি দেখলেই ভয় হয়। খাওয়া তো দূরের কথা। শাকসব্জি খেতে অনেকেই ভালবাসেন না। পাতে পটলের তরকারি দেখলে নাকও সিঁটকান। তবে তা অপছন্দের জায়গা, ভয় বা আতঙ্ক নয়। সব্জি-আতঙ্ক এক ধরনের বিরল অসুখ, যার গালভরা নাম ‘ল্যাকানোফোবিয়া’।

Advertisement

বিশ্বে নানা ধরনের ‘ফোবিয়া’ আছে। সেগুলির আবার বিভিন্ন শ্রেণিবিভাগও হয়। তবে ল্যাকানোফোবিয়া এমন এক ধরনের রোগ, যাকে অ্যাংজ়াইটি ডিজ়অর্ডারই বলছেন গবেষকেরা। ‘হার্ভার্ড হেল্‌থ’ থেকে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে নানা রকম ফোবিয়ার মধ্যে ল্যাকানোফোবিয়ারও উল্লেখ আছে। সেখানে গবেষকেরা বলেছেন, এটি এক বিচিত্র ধরনের অসুখ, যেখানে শাকসব্জি দেখলেই মনে ভয় ধরে। এমনও রোগী আছেন, যাঁরা সব্জির ছবি দেখলেও উদ্বেগে ভোগেন, যদি কেউ জোর করে খাইয়ে দেয়। সব্জি-ভীতির অনেক রকম লক্ষণ দেখা দেয়। রোগী ভেদে তা ভিন্নও বটে। যেমন—

সব্জি দেখলেই ভয়? ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।

১) চোখের সামনে শাকসব্জি দেখলেই উৎকণ্ঠা শুরু হয়। প্যানিক অ্যাটাকও হতে পারে।

Advertisement

২) কেউ যদি সব্জির কোনও পদ খেতে দেন বা সামনে রাখেন, তা হলে প্রচণ্ড মানসিক উদ্বেগ শুরু হবে।

৩) সব্জি ছুঁলে বা তার গন্ধ পেলে অ্যালার্জি হওয়ার মতো প্রতিক্রিয়া হবে। হৃৎস্পন্দন বেড়ে যাবে, শ্বাসকষ্ট হতে পারে, ঘাম হবে, বমি ভাব আসবে।

কাদের হতে পারে ল্যাকানোফোবিয়া?

গবেষণা বলছে, ছোটবেলায় জোর করে সব্জি খাওয়ানো হত যাঁদের, খুব বিস্বাদ কোনও তরকারি বা সব্জি সেদ্ধ খেয়ে বমি হয়েছে বা শরীর খারাপ হয়েছে, এমন ঘটনা ঘটলে সব্জির প্রতি তীব্র বিতৃষ্ণা থেকে এই ফোবিয়া হতে পারে।

খাবার নিয়ে অতিরিক্ত খুঁতখুঁতে ভাবের জন্য এমন সমস্যা হতে পারে।

বংশগত কারণে বা নির্দিষ্ট কিছু জিনের কারণেও এই রোগ হতে পারে।

মানসিক কোনও ব্যাধি থাকলে তার থেকেও ল্যাকানোফোবিয়া দেখা দিতে পারে।

এই ধরনের ফোবিয়া কাটাতে ‘কগনিটিভ বিহেভেরিয়াল থেরাপি’ বা ‘এক্সপোজ়ার থেরাপি’ করানো হয়। কিছু ক্ষেত্রে ওষুধে চিকিৎসা হয়। অতিরিক্ত উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা কাটাতে মেডিটেশন করার পরামর্শও দেন চিকিৎসকেরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement