সমাজে বিত্তবান ব্যক্তি ঈর্ষার পাত্র এবং দরিদ্র ব্যক্তি অবজ্ঞার পাত্র। মহান ঋষিরাও অর্থকে যথেষ্ট গুরুত্ব প্রদান করেছেন। তারা বলেছেন ধর্ম, কর্ম, কাম ও মোক্ষ এগুলোই জীবনের চতুর্বর্গ। “সর্বে গুনা কাঞ্চন মাশ্রয়েৎ” অর্থাৎ একজন ধনী ব্যক্তি সমস্তরকমের গুনের অধিকারী হয়।
রাশিচক্রে ১২টি ভাব আছে। দ্বিতীয়-ভাব হল ধন ঐশ্বর্যের ভাব। চতুর্থ-ভাব নির্দেশ দেয় প্রাচুর্যের। নবম-ভাব ভাগ্যের সন্ধান দেয় এবং একাদশ ভাব থেকে বোঝা যায় কি পরিমাণে অর্থ ও সম্পত্তি অর্জন করবে একজন জাতক বা জাতিকা। ধন সম্পত্তির কারক গ্রহ হল বৃহঃস্পতি ও চন্দ্র এবং প্রাচুর্য ও বিলাসিতার কারক গ্রহ শুক্র। বৃহস্পতি, চন্দ্র ও শুক্র যদি শুভ ভাবস্থ থাকে তাহলে সে একজন ধনী ব্যক্তি।
ধনপ্রাপ্তি
রাশিচক্রে ত্রিকোণ ভাবগুলি লক্ষ্মী দেবীর বাসস্থান এবং পঞ্চম নবম-পতির বিত্ত প্রদান করার বিশেষ ক্ষমতা আছে। যখন লগ্ন, পঞ্চম এবং নবম-পতি গ্রহেরা স্বীয় ভাবে অবস্থান করে অথবা কোনও একটি ত্রিকোণ-পতি অন্য একটি ত্রিকোণে অবস্থিত হয় তখন একটি শক্তিশালী ধন যোগের সৃষ্টি হয়।
• যদি কোনও রাশিচক্রের লগ্ন-পতি হয় ভাবস্থ এবং দ্বিতীয়-পতি একাদশ ভাবস্থ এবং একাদশ-পতি লগ্ন ভাবস্থ হয়, তখন ধনযোগের সৃষ্টি হয়।
• বলশালী দ্বিতীয়-ভাব এবং দ্বিতীয়-পতি শুভ গ্রহ যুক্ত বা দৃষ্ট হয়ে কেন্দ্র অথবা ত্রিকোণে ভাবস্থ হলে জাতক ধনবান হন।
• রাশিচক্রে সপ্তম-পতি দশম ভাবস্থ এবং দশম-পতি উচ্চস্থ অথবা নবম-পতির সঙ্গে সহাবস্থানে ধনযোগ সৃষ্টি করে।
• বলশালী লগ্ন,লগ্ন-পতি, নবম-পতি যুক্ত হয়ে স্বরাশি,উচ্চরাশিস্থ হয়ে কেন্দ্র অথবা ত্রিকোণে ভাবস্থ হলে ধনযোগের সৃষ্টি করে।
ধন ঐশ্বর্যের মাধ্যমে একজন ব্যক্তি সমাজে প্রতিষ্ঠা, সম্মান, ক্ষমতা এবং খুব সম্ভবত দাম্পত্য জীবনের সুখ শান্তি ছাড়া বাকি সমস্ত প্রকারের সুখ বিলাসিতা ভোগ করতে পারেন।