কোনও শিশু কখন জন্মগত ভাবে বিকলাঙ্গ হতে পারে জেনে নিন

মাতার পূর্ব জন্মের কৃত অথবা এই জন্মে কৃত পাপের জন্য তার গর্ভ অশুদ্ধ হতে পারে, একই কারণে পিতার শুক্র অশুদ্ধ হতে পারে যার অবশ্যম্ভাবী ফল সন্তানের বিকলাঙ্গতা। অবশ্য সন্তানের নিজের পূর্বজন্মার্জিত পাপের শাস্তি হিসেবেও তার বিকলাঙ্গতা আসতে পারে।

Advertisement

শ্রীমতী অপালা

শেষ আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০১৭ ০৪:০০
Share:

সন্তান জন্মের পর সব বাড়িতেই একটা আনন্দের ঢেউ বয়ে যায়। কিন্তু যখন স্বল্পকালের মধ্যেই সবাই অনুভব করতে পারেন যে এই সন্তান স্বাভাবিক নয়, জন্মগত ভাবে বিকলাঙ্গ, তখন সেই আনন্দ ক্ষণস্থায়ী হয়ে যায়। বিকলাঙ্গ বলতে হাত পায় সাড়হীন নিস্তেজ, বোবা, কালা, অন্ধ, জন্ম থেকে স্বাভাবিক বোধ-বুদ্ধিহীন ইত্যাদি সবকিছু অস্বাভাবিকতাকেই বোঝায়।
শিশুর বিকলাঙ্গতার জন্য সাধারণত শিশুর মাতা অথবা পিতাই দায়ী হয়। কারণ, পিতা অথবা মাতার পূর্বজন্মার্জিত পাপের জন্য অথবা এই জন্মে করা ক্ষমতার অযোগ্য পাপকার্যের জন্য বিধাতার বিধানে এই শাস্তি।
মাতার পূর্ব জন্মের কৃত অথবা এই জন্মে কৃত পাপের জন্য তার গর্ভ অশুদ্ধ হতে পারে, একই কারণে পিতার শুক্র অশুদ্ধ হতে পারে যার অবশ্যম্ভাবী ফল সন্তানের বিকলাঙ্গতা। অবশ্য সন্তানের নিজের পূর্বজন্মার্জিত পাপের শাস্তি হিসেবেও তার বিকলাঙ্গতা আসতে পারে। কিন্তু এক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠতে পারে যে, শিশুটির নিজের পাপের জন্য কেন এক নিরপরাধ দম্পতিকে শাস্তি দেওয়া হবে। এখানে নিশ্চিত থাকুন যে, বিশুদ্ধ ধর্মপথে থাকা কোনও নিরপরাধ দম্পতির গর্ভে এইরূপ সন্তান বিধাতা কখনওই পাঠান না। তাই নির্দ্বিধায় বলা যায় যে ওই সন্তানের পিতামাতা গত জন্মে হোক বা এই জন্মে হোক অবশ্যই এমন পাপ করেছেন যার জন্য ওই শিশু তাদের গর্ভজাত ও ঔরসজাত।
যদি শিশুটির নিজের পাপের জন্য ওই শাস্তি হয় তাহলে, তার জন্ম ছকে অবশ্যই এটা ফুটে উঠবে। তমঃশক্তির প্রাবল্যের জন্য বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষই অত্যন্ত কামাসক্ত। তাই পঞ্জিকায় গর্ভাধানের সময় দেখে গর্ভাধানের জন্য সঙ্গমে রত হওয়া উচিত, তাহলে খুব ভাল ফল পাওয়া যায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন