হাতের রেখাই বলে দেবে সন্তান কতটা বুদ্ধিমান হবে

এমন অনেক মানুষ আছেন যারা ছোটবেলায় মেধাবী ও বুদ্ধিমান হয়েও শেষ পর্যন্ত লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারে না। এমনকী লেখাপড়ার সুযোগও জোটে না কিংবা কোনও কারণে সেই সুযোগ নষ্ট হয়।

Advertisement

পার্থপ্রতিম আচার্য

শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০১৭ ০০:২৪
Share:

গোপাল বড় সুবোধ বালক। সে খুব মনোযোগ দিয়ে লেখাপড়া করে, গুরুজনদের বাধ্য ছেলে, কখনও অসৎ কর্ম করে না। এর ঠিক বিপরীত হল রাখাল, সে খুব অবাধ্য। পড়াশুনার নাম গন্ধ নেই, তবে দুষ্টুমিতে একেবারে সিদ্ধহস্ত। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের এই বালক চরিত্র দু’টি স্রেফ কাল্পনিক নয়, বরং সমগ্র মানব জাতির বাল্যাবস্থার আর্কিটাইপ। বাস্তবেও অনেক ছেলে আছে গোপালের মতো। যাদের লেখাপড়ার প্রতি খুব ঝোঁক থাকে, নিয়মিত বিদ্যালয়ে যায়, কখনও কোনও গর্হিত কাজ করে না এবং ভবিষ্যতে মেধাবী এবং মনোযোগী হিসাবেই আত্মপ্রকাশ করে জীবনে প্রতিষ্ঠা লাভ করে।

Advertisement

আবার রাখালের মতো ছেলের উদাহরণ রয়েছে ভুরি ভুরি। পড়াশোনায় তাদের এতটুকুও মন থাকেনা। মাথায় সব সময় দুষ্টু বুদ্ধি ঘোরে এবং নানা রকম সমাজ গর্হিত কাজেই তাদের আনন্দ। এই পথে চলে জীবনে তারা দূর্ভাগ্যই বয়ে আনে। তবে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা ছোটবেলায় মেধাবী ও বুদ্ধিমান হয়েও শেষ পর্যন্ত লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারে না। এমনকী লেখাপড়ার সুযোগও জোটে না কিংবা কোনও কারণে সেই সুযোগ নষ্ট হয়।

কেন এমন হয়? কেন এমন ঘটে?

Advertisement

বুদ্ধি এবং শিক্ষা– সম্বন্ধীয় ভবিষ্যতে কোন শিশু কেমন ফল লাভ করবে সে সম্বন্ধে জাতকের হাতের গঠন অনুযায়ী কতকগুলো লক্ষণ আছে।

এখানে সেই লক্ষণগুলির বিধি সম্পর্কে কিছু জ্ঞাতব্য তথ্য দেওয়া হল।

১। যে সব জাতকের হাতের চামড়া মোটা ও কর্কশ, হাতের গঠন স্থূল ও ভারী এবং আঙুল ও হাতের নখ ছোটো, সেই সব জাতক অল্পবুদ্ধি সম্পন্ন হয়।

২। যে সব জাতকের আয়ুরেখা খুব চওড়া এবং আঙুলের অগ্রভাগ ছড়ানো, সেই সব জাতকের ইচ্ছাশক্তি বা কাজ করার ক্ষমতা কম থাকে। এই জাতকরা খুব অলস হয়।

৩। যে সব জাতকের আয়ুরেখা শিরোরেখার সঙ্গে মিলিত হয়ে একযোগে হাতের মধ্যভাগ পর্যন্ত আসে, সেই সব জাতক জন্মের পর দেরিতে কথা বলা শুরু করে এবং বৌদ্ধিক ও মানসিক ক্ষেত্রেও তারা খুব দুর্বল হয়। কোনও কোনও ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, এই ধরনের জাতক যথেষ্ট শিক্ষা লাভ করলেও মানসিক ভাবে খুব দুর্বল, লাজুক এবং সঙ্কুচিত থাকে।

৪। উপরোক্ত ধরনের জাতকের হাতের আয়ুরেখা যদি দ্বীপচিহ্ন যুক্ত হয় তা হলে সেই জাতক মানসিক রোগগ্রস্থ থেকে বোবা কালা পর্যন্ত হতে পারে।

৫। যে সব জাতকের শিরোরেখা শৃঙ্খলাকার, তারা খুব অল্পবুদ্ধি সম্পন্ন হয় এবং সব সময়েই বিচলিত হয়।

৬। যদি শিরোরেখা অত্যন্ত চওড়া অথবা অত্যন্ত পাতলা হয় তবে জাতকের বোধশক্তি কম থাকে এবং জাতক অল্প শিক্ষিত হয়।

৭। যে সব জাতকের শিরোরেখার নীচে ছোট ছোট সুক্ষ রেখা দেখা যায়, সেই সব জাতকের স্মরণশক্তি খুব দুর্বল হয়।

৮। ছোট ছোট দ্বীপ দ্বারা নির্মিত শিরোরেখা জাতকের স্মরণশক্তির দুর্বলতা এবং অল্পবুদ্ধি নিশ্চিত করে।

৯। যে সব জাতকের শিরোরেখা বাঁকা ভাবে এসে হৃদয়রেখার সঙ্গে মিলে যায় এবং হাতে বুধের স্থানও নিচু থাকে, সেই সব জাতক স্থির ভাবে কোনও কিছুর বিচার করতে পারে না। এরা বুদ্ধিহীন এবং হিংসাপরায়ণ হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন