কর্ম ও আয়–এর কারক গ্রহ শনি। শনি দূর্বল, পীড়িত, অশুভ হলে কর্মলাভ সম্ভব নয় ফলে উপার্জন হ্রাস পায়। মানুষের জীবনে নানা বিপত্তির সৃষ্টি হয় । সৌরজগতে শনি পৃথিবী থেকে বহু আলোকবর্ষ দূরত্বে থাকে । তাই পৃথিবীর জীবমণ্ডলে তার প্রভাব খুবই কম পড়ে। রাশিচক্রে শনি ত্রিশ বৎসরে একবার পরিক্রম করে। এক একটি রাশিতে প্রায় আড়াই বৎসর শনি থাকে। বক্রগতিকালে সেটা হ্রাস- বৃদ্ধি হয়।
ছায়াপুত্র, যমের অগ্রজ এবং রবির পুত্র হিসেবে শনিদেব সকলের কাছে জ্ঞাত। মুল রাশিচক্রে দশম ও একাদশ ভাবের পতি হিসেবে শনি গ্রহকে জ্যোতিষে গ্রহন করা হয়।
যে কোনও গ্রহ পরিক্রমণ কালে যেকোনও জাতকের লগ্ন থেকে দ্বাদশ ভাবে, একটি নির্দিষ্ট সময় থাকে এবং নির্দিষ্ট বছর পর পর বিভিন্ন ভাবে আসে।দ্রুততম গ্রহ বুধ, এরপর শুক্র, তারপর রবি, মঙ্গল, বৃহস্পতি, রাহু বা কেতু এবং তারপর শনি।
১। রাশিতে আড়াই বছর করে অবস্থান করে, সেক্ষেত্রে মোট সাড়ে সাত বছর দ্বাদশ, লগ্ন, ও দ্বিতীয়ে শনির প্রভাব থাকে, যাকে সাড়ে সাতি বলে।
২।শনি তমোগুণী, তপস্যার দ্বারা লব্ধ জ্ঞান, শনি দান করে। বুধ ও শুক্র, শুভ ভাবে শনির সাথে যুক্ত হলে সুখ ও ধন লাভ হয়। শনি যা দান করে, তা ফিরিয়ে নেয় না। শুভ শনির কৃপায় কোনও জাতক-জাতিকা জীবনে যে স্তরে পৌঁছন, সেখান থেকে পতনের কোনও সম্ভবনা থাকে না।
৩। জন্ম সময় থেকে শুরু করে তিনবার শনি লগ্ন, দ্বাদশ ও দ্বিতীয়ে আসে, একবার বাল্যকালে,পরে যৌবনে এবং বার্ধক্যে।