প্রথাগত জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী পঞ্চমভাব থেকে প্রেম-প্রণয় বিচার করা হয়। কিন্তু প্রেম প্রণয়ের বৈচিত্র অনেকটাই মানব স্বভাবের ওপর নির্ভর করে। যেটা শুধুমাত্র পঞ্চমভাব বিচার করে বোঝা অসম্ভব। জ্যোতিষ মতে, স্বভাব বিচার করা লগ্ন, লগ্নপতি এবং কারক গ্রহ রবি থেকে। সুতরাং প্রেম প্রণয়ের বিচারের ক্ষেত্রে এদের গুরুত্ব অপরিসীম। বৃদ্ধাঙ্গুলির নমনীয়তা বা অনমনীয়তা থেকে মানব স্বভাব অতি নিখুঁতভাবে বোঝা যায়। এখন লগ্নের ওপর কয়েকটি গ্রহের প্রভাব থেকে প্রেমের ওপর মানব চরিত্রের প্রভাব দেখে নেওয়া যাক। আপনার লগ্ন যদি ‘মেষ’ হয়ে থাকে, তা হলে কীভাবে আপনার ওপর প্রভাব ফেলে দেখে নিন:
মেষ লগ্ন: মেষ লগ্নে যদি লগ্নপতি মঙ্গল বসে থাকে, তা হলে সেই জাতক-জাতিকারা হঠকারী অনমনীয় মনোভাব সম্পন্ন হয়। এর সঙ্গে বৃদ্ধাঙ্গুলি যদি অনমনীয় হয়, তা হলে কথাই নেই। জেদ, হঠকারিতার জন্য এদের প্রেমের সর্ম্পক ভেঙে যায়। এরা কাজ করে ফেলার পর আফশোস করে। মেষ লগ্নে মঙ্গলের পরিবর্তে যদি চন্দ্র থাকে এবং চন্দ্র যেহেতু মনের কারক সেহেতু এদের মানসিক চঞ্চলতা, অস্থিরতার জন্য সর্ম্পকে অহেতুক জটিলতার সৃষ্টি হয়। ফলে সর্ম্পক স্থায়ী হয় না। মঙ্গল, চন্দ্র এক সঙ্গে থাকলে তো কথাই নেই। যদি মঙ্গল, বৃহস্পতি এক সঙ্গে থাকে, তা হলে এদের অহংকার, নিজেকে সব সময় বড় ভাবা ইত্যাদির কারণে প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে যায়। এর সঙ্গে অবশ্যই রবির অবস্থান দেখতে হবে। রবি যে রাশিতে বসে থাকবে সেই অনুযায়ী ফলের তারতম্য হবে। যেমন মঙ্গল, বৃহস্পতি মেষে আর রবি যদি কর্কটে অবস্থান করে, তা হলে জাতকের নিজেকে বড় করে দেখানোর প্রবণতা থাকলেও তার অন্যের প্রতি সহানুভূতি সহমর্মিতাও থাকবে।