ভারতীয় জ্যোতিষ মতে অর্থাৎ জন্মছকে কেতুগ্রহের দশা-অন্তর্দশা দেখে বিপদ বলা সম্ভব হয়। মঙ্গল এবং কেতুর অবস্থান থেকে দুর্ঘটনায় মৃত্যু আছে কি না তাও বলা যায়। যে কোনও বিপদ আমাদের জীবনকে তছনছ করে দিতে পারে, ফাঁড়া অনেক রকম ভাবে হতে পারে যেমন—দুর্ঘটনার ফলে বিপদ কারোর ষড়যন্ত্রের স্বীকারে বিপদ , হঠাট বড় কোনও রোগে বিপদ , তীর্থে গিয়ে বিপদ , ইত্যাদি নানান রকম দিক থেকে বিপদ আসতে পারে। মানুষের জন্ম, মৃত্যু ও বিয়ে কথায় বলে এই তিনটি ঘটনা ঈশ্বরের ওপর নির্ভর করে।
সঠিক সময় বা কখন, কোথায়, কি ঘটবে তা সব কিছুই ঈশ্বর নির্দিষ্ট অর্থাৎ পূর্ব জন্মের কর্মফলের সঙ্গে সম্পৃক্ত। মানুষের জন্ম ও বিবাহ কিয়দংশে নিয়ন্ত্রন এযুগে সম্ভব হলেও, মৃত্যু কীভাবে, কখন, কোথায় হবে তা বলা অত্যন্ত কঠিন।
যাই হোক আমাদের আজকের আলোচ্য বিষয় হল মৃত্যুতুল্য ব্যাধি অথবা মৃত্যুর সম্ভবনা অর্থাৎ যাকে আমরা বলি ফাঁড়া। আবার মৃত্যুর দরজা থেকে ফিরে আসাও বলতে পারি।
বিপদ বা মৃত্যু যোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার কতগুলি উপায়-
(১) প্রথমেই বলব ভারতীয় মত অনুযায়ী মৃত্যুঞ্জয় কবচ ধারন করুন।
(২) প্রত্যেক মঙ্গল ও শনিবার হনুমানজীকে লাড্ডু ও মেটে সিঁদুর দিয়ে আয়ু ও দীর্ঘজীবন পার্থনা করুন।
(৩) বাড়িতে বাস্তু দোষ আছে কি না তা জেনে নিন। থাকলে তার খুব দ্রুত প্রতিকার করুন।
(৪) কেতু, মঙ্গল ও রাহু যদি খারাপ থাকে তাহলে সময় থাকতে প্রতিকার করান, একদম দেরি করবেন না।
(৫) সন্তানের ফাঁড়া থাকলে মা বাবা, স্বামীর ফাঁড়া থাকলে স্ত্রী কায়মনোবাক্যে এবং বিধিমতে শিবের পূজা করুন।
(৬) বাড়িতে অশুভ শক্তি আটকাতে, বাড়ির প্রবেশ দ্বারের ওপর হনুমানজীর মূর্তি স্থাপন করুন।
(৭) স্নানের সময় নাভিতে ও বুড়ো আঙুলের নখে অবশ্যই সর্ষের তেল লাগান। তাতে অকাল মৃত্যু সম্ভবনা দূর হবে।