যে গান মানুষের প্রাণকে জাগিয়ে তোলে, আমোদিত করে, কারা জন্মসূত্রে সেই গায়কী-প্রতিভার অধিকারী, মানুষের জন্মকুণ্ডলী বিচারের মাধ্যমে সেই বৈশিষ্ট্যও খতিয়ে দেখা যায়। একজন মানুষের জীবনে সফল গায়ক বা গায়িকা হওয়ার সম্ভাবনা জ্যোতিষ বিচার নিরূপণ করতে পারে।
শাস্ত্রমতে মানুষের সঙ্গীত প্রতিভা নিরূপণের ক্ষেত্রে জন্মকুণ্ডলীর বিশেষ কয়েকটি ভাব ও বিশিষ্ট কিছু গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থান জরুরী। দেখে নেওয়া যাক সেই সব অবস্থান—
১। জন্মকুণ্ডলীর দ্বিতীয় ভাবকে ‘বাণী’র ভাব হিসাবে বিবেচিত করা হয়। এবং এই ভাবের কারক গ্রহ বুধ। কুণ্ডলীর দ্বিতীয় ভাব বা দ্বিতীয় ভাবপতির উপর যদি অশুভ গ্রহের দৃষ্টি না থাকে এবং সেই সঙ্গে শুক্র যদি বলশালী অবস্থায় কেন্দ্রে বিরাজ করে দশম ভাব/দশম পতি অথবা লগ্ন ভাব/লগ্নপতিকে প্রভাবিত করে তা হলে জাতক নিশ্চিত ভাবে গায়ক হয়।
২। জন্মকুণ্ডলীর দ্বিতীয় ভাবে বুধ এবং শুক্র একত্রে অবস্থান করলে ব্যক্তির চলচ্চিত্র জগতের গায়ক বা সঙ্গীতকার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৩। জাতকের জন্মকুণ্ডলীর পঞ্চম ভাব মনোরঞ্জনের স্থান। এই পঞ্চম ভাব বা পঞ্চমপতির সঙ্গে দ্বিতীয় পতি, বুধ এবং শুক্রের সম্পর্ক থাকলে জাতক প্রসিদ্ধ গায়ক রূপে জীবনে প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
৪। যে ব্যক্তির জন্মকুণ্ডলীতে লগ্নপতি বুধ চন্দ্রের রাশিতে মঙ্গলের সঙ্গে বিরাজ করে এবং শুক্র দশম ভাবে থাকে তারও শ্রেষ্ঠ গায়ক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
(ক্রমশ)