‘বারো মাসে তেরো পার্বণ’–এর বাংলায় বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। উমা যেন ঘরের মেয়ে। এই উৎসবের উন্মাদনার মাঝে যদি কারও ঘরে নবজাতক আসে তবে তার ভাগ্য, কর্ম, ভবিষ্যৎ কেমন হবে?
দেখে নেওয়া যাক যারা ষষ্ঠীর দিনে জন্মাবে তাদের চারিত্রিক গুণাবলী-
মহাষষ্ঠী-
১৪২৫ সালে ২৮ আশ্বিন, সোমবার, মহাষষ্ঠীর দিন যে সব জাতক জাতিকা জন্মগ্রহণ করবে, সংখ্যা তত্ত্বের দিক থেকে বিচার করলে তাদের স্বভাব-চরিত্র, অর্থ ও স্বাস্থ্যের ওপর রবি প্রভাব বিস্তার করবে। রাগ, জেদ, খেয়ালি ও ভাবপ্রবণ হবে। তর্কে এরা অদ্বিতীয় এবং সিদ্ধান্তে অবিচল থাকবে। একগুঁয়ে মনোভাবাপন্ন, যদি একবার কোনও কাজ করব বলে স্থির করে, তবে ‘যেন তেন প্রকারেণ’ তা পালন করবেই।
ষষ্ঠী ইংরাজি মাসের ১৫ অক্টোবর। এই মাসের ধর্মই হল একরোখা মনোভাব। অবশ্য উক্ত নবজাতক বা জাতিকার মাতা যদি যথাযথ বিচার করে প্রতিকূল গ্রহের প্রতিকার করে নেয় তবে এই সময়ে যারা জন্মাবে তাদের মধ্যে বিদ্যাবুদ্ধির প্রখরতা থাকবেই বলা যায়।
যারা ষষ্ঠীর দিনে জন্মাবে তাদের জন্মছক নিম্নরূপঃ-
ধনু রাশি, মূলা নক্ষত্র, আশ্বিন শুক্ল পক্ষ, ষষ্ঠী তিথি, ক্ষত্রিয় বর্ণ, দেবারি গণ। যারা বিকেলের দিকে জন্মগ্রহণ করবে তাদের ক্ষেত্রে নর গণ হবে। লগ্ন নির্ণয় করা গেল না কারণ লগ্ন জন্ম মুহুর্তে রবির অবস্থান অনুসারে বিশ্লেষণ করতে হয়। অর্থাৎ যে রাশিতে রবি অবস্থান করে সেটাই নবজাতকের জন্মলগ্ন।