বুদ্ধপূর্ণিমার দিন এই কাজগুলি করলে সংসারে সুখ ও সমৃদ্ধি অনিবার্য

বুদ্ধপূর্ণিমা বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রধান উৎসব। বৈশাখ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে এই উৎসব পালন করা হয়। তাই এই পূর্ণিমা বুদ্ধজয়ন্তী ও বৈশাখী পূর্ণিমা নামেও পরিচিত।

Advertisement

শ্রীমতী অপালা

শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০১৯ ০৮:৫৯
Share:

বুদ্ধপূর্ণিমা বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রধান উৎসব। বৈশাখ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে এই উৎসব পালন করা হয়। তাই এই পূর্ণিমা বুদ্ধজয়ন্তী ও বৈশাখী পূর্ণিমা নামেও পরিচিত। এই উৎসব বাঙালিদের কাছেও খুব জনপ্রিয়, পবিত্র ও শুভ। এই দিনে প্রচুর বাঙালি নানা রকম পূজার্চনার মাধ্যমে দিন শুরু করে থাকেন। বুদ্ধপূর্ণিমার এই বিশেষ তিথিতে বিশেষ কিছু সহজ উপায়ের মাধ্যমে আমাদের জীবন সুখসমৃদ্ধিতে ভরে উঠতে পারে।

Advertisement

দেখে নিই সেই সহজ উপায়গুলি কী কী:

১) বুদ্ধপূর্ণিমার সকালে উঠে স্নান সেরে হলুদ, চন্দন ও দুধের মিশ্রণ দিয়ে বাড়ির প্রধান দরজার দু’পাশে স্বস্তিকা চিহ্ন আঁকুন।

Advertisement

২) এই দিন ভোর বেলা গঙ্গাস্নান করে সারা দিন উপবাস থেকে রাতে চন্দ্রদেবের পুজো করুন। পুজো শেষ হওয়ার পর ব্রাহ্মণকে কিছু দান করলে সুখ-শান্তিতে বাড়ি ভরে উঠবে।

৩) এই দিন বাড়ির ঈশান কোণে ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালুন। এতে লক্ষ্মীদেবীর কৃপায় আপনার বাড়িতে কখনও অর্থ, অন্ন, বস্ত্রের অভাব হবে না।

আরও পড়ুন: শ্রীশ্রীবুদ্ধ পূর্ণিমা ও বৈশাখী পূর্ণিমার নির্ঘণ্ট ও সময়সূচি​

৪) এই দিন পিতৃকুলের পূর্বপুরুষদের উদ্দেশে গঙ্গাস্নান করে জল দান করা খুব ভাল। তা ছাড়া এই দিন গঙ্গাস্নান করলে পাপ মুক্তি হয় বলে মানা হয়।

৫) বুদ্ধপূর্ণিমার দিন যমরাজের পুজো করলে অকালমৃত্যু ভয় থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

৬) এই দিন গরিব দুঃখীকে অন্ন, বস্ত্র, ক্ষমতা অনুযায়ী অর্থ দান করুন। এই দিন পশুপাখিদের জল ও খাবার খাওয়ানো খুব শুভ।

৭) গঙ্গাজলের সঙ্গে কিছুটা হলুদ মিশিয়ে কলাগাছ ও অশ্বত্থ গাছে ঢালুন এবং মনস্কামনা বলুন। এর ফলে আপনার যে কোনও মনস্কামনা পূরণ হবে।

৮) বুদ্ধপূর্ণিমার দিন সূর্য অস্ত যাওয়ার পর একটা অশ্বত্থ পাতায় চন্দন দিয়ে মনস্কামনা লিখে সেটা গঙ্গায় ভাসিয়ে দিন। এতে মনের ইচ্ছা পূরণ হবেই।

৯) বুদ্ধপূর্ণিমার দিন ঘরে বুদ্ধমূর্তি ও লাফিং বুদ্ধমূর্তি স্থাপন করুন। এতে ঘর সুখ, শান্তি ও আনন্দে ভরে উঠবে।

১০) গুরুজনদের খারাপ কথা বলবেন না। এ ছাড়া এই দিন যতটা সম্ভব অশান্তি থেকে দূরে থাকতে হবে।

১১) বুদ্ধপূর্ণিমার দিন হনুমানজির মন্দিরে ঘিয়ের প্রদীপ জ্বেলে মনের ইচ্ছা প্রকাশ করুন।

১২) এই দিন বাড়িতে আগত অতিথিদের যত্ন করুন এবং কেউ যদি কোনও কিছুর জন্য সাহায্য চান, তা হলে এই দিন কোনও ভাবে তাঁকে নিরাশ করবেন না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন