বুধ বিরুদ্ধ হলে—
বুধের রত্ন পান্না, সাদা পোখরাজ, অ্যাগেট, বিচিত্র বর্ণের ওপাল প্রভৃতি।
বুধের ধাতু মিশ্র ধাতু। বিশেষত ত্রিলৌহ, কাঁসা, পারদ।
বুধের উদ্ভিদ অপামার্গ, বীজতারক, প্রিয়ঙ্গুলতা, অগুরু, চন্দন, বচ প্রভৃতি।
বিরুদ্ধ বুধের জন্য স্বাস্থ্যহানি হলে ত্রিলৌহের মাদুলিতে আপাঙ অথবা বীজতারকের মুল ধারণে অনেক সময় ফল পাওয়া যায়।
সাংসারিক বা পারিবারিক অশান্তির জন্য সাদা পোখরাজ ত্রিলৌহের আংটিতে ধারণ করলে অনেক ক্ষেত্রেই প্রতিকার হয়।
বুধ বিরুদ্ধ হলে গৃহসজ্জা, আসবাবপত্র ইত্যাদিতে মিশ্রবর্ণ ব্যবহার করা উচিত। তা ছাড়া সুগন্ধি ধূপ ও গন্ধ দ্রব্যাদির ব্যবহার করা দরকার।
বৃহস্পতি বিরুদ্ধ হলে—
বৃহস্পতির রত্ন হলুদ পোখরাজ, মুক্ত, এমেথিস্ট, রক্তমুখী নীলা প্রভৃতি।
বৃহস্পতির ধাতু খাঁটি সোনা, দস্তা, রুপা, গন্ধক, হরিতাল প্রভৃতি।
বৃহস্পতির উদ্ভিদ বামনহাটি, দারু, হরিদ্রা, হরিতকী, আম, কাঁঠাল, বট, অশত্থ, তুলসি ইত্যাদি।
বৃহস্পতির বিরুদ্ধতায় স্ত্রী-পুরুষের মধ্যে অপ্রীতি বা মনোমালিন্য হলে রূপা মিশ্রিত সোনার আংটিতে হলুদ পোখরাজ ধারণ করলে বিরুদ্ধ বৃহস্পতি থেকে উৎপন্ন সাংসারিক অশান্তির প্রতিকার হয়। সোনা মেশানো রুপোর আংটিতে মুক্তা ব্যবহার করলে বিরুদ্ধ বৃহস্পতি থেকে উদ্ভুত প্রজননের বিঘ্ন অনেক সময় দূর হতে দেখা গেছে।
বিরুদ্ধ বৃহস্পতির জন্য যদি দম্পতির স্বাস্থ্যহানি হয়, তা হলে বামুনহাটির মূল, দারুহরিদ্রা কিংবা হরিতকীর বীজ ধারণ করলে অনেক সময় উপকার হতে দেখা যায়। মুক্তাধারণ করলেও এ ব্যাপারে উপকার পাওয়া যায়।
বৃহস্পতির বিরুদ্ধতার জন্য গৃহসজ্জা, আসবাবপত্র ও গৃহের আবেষ্টনীর মধ্যে হলদে, সোনালি, রূপালি এবং বেগুনি রঙের যথাসম্ভব বেশি ব্যবহার বাঞ্ছনীয়।