আজ সারা বিশ্বের সব প্রান্তের মানুষের কাছেই ‘রঙ’ একটি বিশেষ শব্দ। যা কারও কারও কাছে ঈশ্বর সম। রঙ শুধু মাত্র চোখের শোভাই বাড়ায় না, আমাদের মন মস্তিষ্কেও প্রভাবিত করে সহায়তা প্রদান করে। সহায়তা প্রদান করে। শুধু প্রয়োজন সঠিক রঙটাকে বেছে নেওয়া।
বিভিন্ন রোগ ব্যাধির উপর রঙের প্রভাব অর্থাৎ ফোটো-মেডিসিন আজ সর্বজনবিদিত । তবে, এর মধ্যে সর্বজনবিদিত, সর্বচর্চিত হলও বাস্তুশাস্ত্রে রঙের বিষয়টি।
১। বেগুনি রঙের প্রভাব হাঁপানি ও অনিদ্রা রোগীদের উপর পড়ে। এই রঙটি আথ্রাইটিস, বিভিন্ন শারীরিক ব্যথা-বেদনার পক্ষে সহায়ক। যেখানে মশার প্রকোপ বেশি সেখানে বেগুনি রঙ বিশেষ কার্যকর। এই রঙটি শরীরে পটাশিয়ামের ঘাটতি পোষাতে সহায়তা করে থাকে।
২। শরীরের শিথিল ভাবের ক্ষেত্রে সিন্দুর রঙ শুভদায়ক।
৩। চর্মরোগের ক্ষেত্রে নীল অথবা ফিরোজা রঙ বিশেষ উপকারী।
৪। বাচ্চাদের ঘর লাল রঙ করা উচিত নয়, কিন্তু যে বাচ্চার বুদ্ধি কম তাদের ক্ষেত্রে লাল বা গোলাপী রঙ সহায়তা প্রদান করে।
৫। হলুদ রঙ হৃদয় তথা স্নায়ুকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। তাই উন্মাদনী, মানসিক দুর্বলতা,ভাবালুতা,অম্বল, পিত্তজনিত সমস্যা প্রভৃতি থেকে মুক্তিতে হলুদ রঙ কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করে থাকে। এটি মস্তিষ্ককে সক্রিয় করতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। যে কারণে বিদ্যার্থী বা বৌদ্ধিক ক্ষমতা কম যাদের তাদের ঘর হলুদ রঙ করা ভাল।
৬। আকাশী রঙ উদর বা পেট সংক্রান্ত রোগের পক্ষে বিশেষ সহায়ক।
৭। কমলা রঙ প্লীহা, ফুসফুস এবং নাড়ির উপর প্রভাব বিস্তার করে থাকে। এই রঙটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
৮। লাল রঙ খিদে বাড়িয়ে দেয়। এটি সর্দি-কাশী, রক্তচাপ এবং কণ্ঠরোগ নিরাময়ে বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করে থাকে।
৯। পক্ষাঘাতগ্রস্থ রোগীদের পক্ষে সাদা রঙ বিশেষ ভূমিকা নেয়। তাই এই রোগীদের ঘর ও পরিধেয় বস্ত্র যদি সাদা রঙের হয় তবে সেটা এদের পক্ষে বিশেষ শুভজনক।