বৃশ্চিক রাশি: সাধারণত বৃশ্চিক রাশির লোকেরা মানসিক ভাবে সহজে কাতর হয়ে পড়ে না। তাই বলে এটা বলা যায় না যে, তারা কখনও মানসিক বৈকল্যের শিকার হবে না। যদি চন্দ্র দুর্বল বা অশুভ প্রভাবিত হয়, সেই সঙ্গে লগ্ন যদি রাহু বা কেতু দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকে, তা হলে বলা যেতে পারে এরা মানসিক অবসাদের শিকার হতে পারে। তথাপি বলা যেতে পারে এরা মানসিক অবসাদের শিকার হলেও সহজে তার থেকে বেরিয়ে আসে।
ধনু রাশি: ধনু রাশির লোকেরা অনেকটা মেষ রাশির লোকদের মতো। চিন্তার জাবর কাটতে খুব একটা বিশ্বাসী নয়। যদি তাদের চিন্তা করতেই হয়, তখন তারা সেই রকম বড় ধরনের চিন্তা করে, সব দিক ভেবে চিন্তা করে, কার্যকরী চিন্তা করে। ফলে তারা কোনও ভাবেই মানসিক অবসাদের শিকার হয় না।
মকর রাশি: মকর রাশির লোকেরা সুখী হতে চায়। তবে সে একা সুখী হতে চায় না। সে চায় সবাইকে নিয়ে সুখী হতে। যদি কখনও কোনও মকর রাশির লোক মানসিক চাপে পড়ে, সে তাড়াতাড়ি তার থেকে মুক্ত হয়ে যায়। ফলে অবসাদ তার ক্ষতি করতে পারে না। তারা তাদের মানসিক চিন্তার জোরেই নিজেকে অবসাদ থেকে মুক্ত রাখে।
কুম্ভ রাশি: এমনিতে কুম্ভ রাশির লোকেরা গভীর স্বভাবের হয়ে থাকে। তাই কোনও ঘটনা ঘটলে সেটা তাড়াতাড়ি বিস্লেষণ করার চেষ্টা করে থাকে। যাতে তার মনের উপর খুব একটা প্রভাব না পড়ে। কুম্ভের শরীরের উপর যাতে ঘটনার কোনও খারাপ প্রভাব না পড়তে পারে, সে চেষ্টা করেই চলে। যদি শরীরে প্রভাব পড়ে, তা হলে সহজে মনের উপর তার প্রতিক্রিয়া হবে, কারণ কুম্ভ সাইকিক ভাব সম্পন্ন রাশি। অবসাদের কারক গ্রহ রাহু বা কেতু যদি রাশির উপর কোনও প্রভাব ফেলে, তা হলে সে ভাবে ক্ষতি করতে পারে না। কারণ কুম্ভের অধিপতি শনির সে ভাবে রাহু বা কেতুর সঙ্গে কোনও শত্রুতা নেই। ব্যাতিক্রমিক ভাবে এরা যদি কখনও মানসিক বৈকল্যের শিকার হয়, তবে সেটা সাময়িক। আবার কিছু কালের মধ্যে এরা নিজেরাই নিজেকে সারিয়ে তোলে।
মীন রাশি: এরা ভয়ানক ভাবাবেগ সম্পন্ন রাশি। এদের মনই শত্রু, আবার মনই বন্ধু। মন এদের চরম ফ্যান্টাসির জগতে নিয়ে যায়। সেই জন্য বেশির ভাগ মীন রাশির কবি, শিল্পী হয়। এরা তাদের দুঃখ, গ্লানি ও ব্যর্থতাকে কবিতার বা শিল্পের মাধ্যমে প্রকাশ করে থাকে। বৃহস্পতি মীনের অধিপতি। যদিও রাহু/কেতুর সঙ্গে বৃহস্পতির সে রকম মিত্রতা নেই, তথাপি মীনের জাতক/জাতিকারা সে রকম ভাবে অবসাদের শিকার হয় না।