যিনি সর্ব ঐশ্বর্য ও সৌন্দর্যের রশ্মিচ্ছটায় আলোকিতা দেবী। কিন্তু তাঁর বাহন ক্ষুদ্র, দেখতে মোটেই ভাল নয়, এমন একটি জীব।
যিনি সর্ব ঐশ্বর্য ও সৌন্দর্যের রশ্মিচ্ছটায় আলোকিতা দেবী। কিন্তু তাঁর বাহন ক্ষুদ্র, দেখতে মোটেই ভাল নয়, এমন একটি জীব কেন?
এর পিছনে পণ্ডিতদের মত হল, যিনি লক্ষ্মীর গুণ অর্থাৎ সত্য, প্রেম, পবিত্রতা, তপস্যা, ক্ষমা, সেবাভাব, তিতিক্ষা পেতে চান, তাঁকে পেচক-ধর্ম পালন করতে হবে। অর্থাৎ জাগতিক বস্তু থেকে একটু দুরে থেকে নির্জনে এই যোগৈশ্বর্য ও সাধন-সম্পদ রক্ষা করতে হয়। না হলে অচিরে নষ্ট হয়ে যায়। পেঁচা যদি দিনের বেলায় বের হয়, অমনি অন্যান্য পাখিরা তাকে তাড়া করে। অতি গোপনে পেঁচা বাস করে। এদের সহজে দেখা যায় না।
পূর্ণতা লাভ না করা পর্যন্ত জাগতিক বিষয়রূপ ব্যক্তি দৈবসম্পদ নষ্ট করে। অপর দিকে লক্ষ্মী অর্থাৎ জাগতিক ধন, ঐশ্বর্য, মান, যশ যে পায় তাকেও পেঁচার মতো দিন-কানা হয়ে থাকতে হয়। ‘দিন-কানা’ অর্থাৎ আধ্যাত্মিক ভাবে সে কোনও উন্নতি করতে পারে না। এখানে পেঁচা অন্ধকারের প্রতীক স্বরূপ। এসব কারণে হয়তো বা শাস্ত্রকারেরা পেঁচাকে লক্ষ্মীর বাহন হিসেবে রেখে দিয়েছেন।