বর্তমান পুরোহিত মন্ডলী ও জ্যোতির্বিদগণ পঞ্চগব্য দ্বারা সিক্ত করে রত্ন ধারণ বা বহুক্ষেত্রে মাতৃমূর্তির চরণে স্পর্শ করে কিছু ফুলাদি দ্বারা মন্ত্রপাঠ করে রত্নটিকে শোধন বা সংস্কার করে রত্ন ধারণের উপদেশ দিয়ে থাকেন। এখন দেখে নেওয়া যাক রত্ন ধারণের সময়কালঃ-
সাধারণত শয়ন একাদশী থেকে উত্থান একাদশী পর্যন্ত সময়টি বাদ দিয়ে রত্ন ধারণ করলে শুভ হয়। শুভকাল হল উত্তরায়ন। অকাল হল দক্ষিণায়ন। শুভ যোগ, শুভ করণ, শুভ নক্ষত্র দেখে রত্ন ধারণ করলে শুভ প্রাপ্তি ঘটবে।
এছাড়া পূষ্যা, অশ্লেষা, হস্তা, মঘা, অনুরাধা, ধনিষ্ঠা, মৃগশিরা, উত্তরাষাঢ়া, উত্তর ভাদ্রপদ, উত্তর ফাল্গনী, রোহিনী, চিত্রা নক্ষত্র বাদ দিয়ে এবং শুক্লা চতুর্থী, নবমী, চতুর্দশী বাদ দিয়ে যে কোনও তিথিতে শুভ যোগে রত্ন ধারণ করলে শুভ ফল পাওয়া যায়। অমৃতযোগ ও মাহেন্দ্রযোগে রত্ন ধারণে সুফল আসে।
আবার মহিলারা অশ্বিনী, স্বাতী ও রেবতী নক্ষত্রে রত্ন ধারণে নিজের বা স্বামীর মঙ্গলার্থে শুভ ফল প্রাপ্ত হয়।
১। মাণিক্য বা চুনী ধারণের শ্রেষ্ঠ সময় রবিবার, সপ্তমী তিথি, সংক্রান্তির দিন।
২। চন্দ্র রত্ন মুক্তা বা শঙ্খ বা মুনস্টোন ধারণের সময় সোমবার প্রাতে বারবেলা বাদ দিয়ে, পূর্ণিমা তিথিতে।
৩। প্রবাল ধারণের সময় ভোরবেলা সূর্য ওঠার মুহুর্তে মঙ্গলবার।
৪। পান্না বা মরকত মণি ধারণের সময় বুধবার প্রাতে বারবেলাদি ত্যাগ করে।
৫। পুস্পরাগ বা পোখরাজ বৃহস্পতিবার বারবেলাদি ত্যাগ করে প্রাতঃকালে ধারণীয়।
৬। হীরক ধারণের সময় শুক্রবার গোধুলি লগ্নে।
৭। নীলা ধারণীয় শনিবার বা অমাবস্যায়।
৮। গোমেদ ধারণীয় শনিবার বা অমাবস্যার শেষ ভাগে।
৯। ক্যাটস-আই ধারণের সময় শনিবার বা চতুর্দশীর শেষ ভাগে।