প্রাচীন কাল থেকেই লক্ষণ শাস্ত্রের প্রচলন দেখা যায়। হাজার হাজার লোক এই শাস্ত্রকে পরীক্ষা করে দেখেছেন, বুঝেছেন। প্রাচীন গ্রন্থেও লক্ষণ শাস্ত্রের সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়। এখন এখানে পুরুষের হাঁটার কিছু প্রামাণ্য লক্ষণ পরিবেশিত হল। আপনিও এগুলিকে যাচাই করে দেখতে পারেন।
১। যে পুরুষ জোরে জোরে মাটিতে পা ফেলে চলে, সে দৃঢ়চেতা হয়। এরা ছোটখাটো বিষয়ে মানুষকে গ্রাহ্য করে না। এদের মধ্যে জেদ ও সাফল্য লাভের প্রচেষ্টাও বেশি দেখা যায়।
২। যে পুরুষ সব সময় দ্রুতগতিতে চলে, তার মধ্যে মানসিক চাঞ্চল্য ও মঙ্গলের প্রভাব বোঝা যায়।
৩। স্থির ভাবে ধীরে চলা ও প্রতি পা সমান ভাবে তালে তালে ফেলে চলা শুভ ও সাফল্যের লক্ষণ। এদের মানসিক ধৈর্য ঠিক থাকে।
৪। চলতে চলতে মাঝে মাঝে হঠাৎ থেমে পড়া আবার চলায় মানসিক শান্তির অভাব, দুশ্চিন্তা, অমনোযোগ প্রভৃতি বোঝায়।
৫। মাঝে মাঝে আস্তে চলা, মাঝে মাঝে আবার জোরে এই ভাবে চলাও মানসিক উত্তেজনা সূচিত করে।
৬। চলার সময় গতির সঙ্গে যাদের সারা দেহ একটু এ দিক ও দিক দোলে, তারা সাধুপ্রকৃতির, পরিশ্রমী, উন্নতিকামী ও ধীর স্থির স্বভাবের লোক হয়।
৭। যাদের হাঁটবার সময় শুধু পা দু’টিই নড়ে, কিন্তু দেহের উপরের অংশ একটুও নড়ে না, তারা দৃঢ় স্বভাব ও কঠোর লোক হয়। এদের উপরে অনেক দায়িত্ব পড়লেও এরা তা পালন করে থাকে। এরা পুলিশ, সেনাবাহিনী প্রভৃতিতে যোগ দিলে জীবনে উন্নতি করতে পারে।
(ক্রমশ)