বুধের ক্ষেত্র থেকে বৃহস্পতির ক্ষেত্র অবধি বৃত্তাকারে ক্ষেত্রগুলোকে শুক্র বন্ধনী বেষ্টন করে থাকে। সবার হাতে শুক্র বন্ধনী থাকে না। সাধারণত স্পর্শকাতর হাতগুলোতেই শুক্র বন্ধনী বেশি দেখা যায়।
এখন দেখে নেওয়া যাক কোন শ্রেণির করতলের ক্ষেত্র কী ফল সূচিত করে-
পৃথ্বী শ্রেণির জাতকের করতলে যদি একটি সুন্দর শুক্র বন্ধনী থাকে, তা হলে জাতকের মধ্যে রুক্ষ ভাব বহুলাংশে কম থাকে। তবে ভাঙা বা অতি বৃহৎ ও বিসদৃশ শুক্র বন্ধনী পৃথ্বী শ্রেণির করতলে কখনওই ভাল ফলের সূচক হয় না। এরূপ ক্ষেত্রে জাতক চরিত্রহীন বা লম্পট প্রকৃতির হয়ে যেতে পারেন।
অগ্নি শ্রেণির করতলে শুক্র বন্ধনী কখনও ভাল ফলের সূচক হয় না। অত্যন্ত মানসিক অস্থিরতা, পরিবর্তনশীলতা এদের মধ্যে দেখা যাবে।
জল শ্রেণির জাতকের করতলে শুক্র বন্ধনী তাকে আরও বেশি স্পর্শকাতর করে তুলবে।
বায়ু শ্রেণির জাতকের করতলেও গভীর শুক্র বন্ধনী কিছুটা মানসিক অস্থিরতার সূচক।
এক কথায় শুক্র বন্ধনী আংশিক ভাবে পৃথ্বী শ্রেণির জাতকের করতলে কিছুটা সুফল প্রদায়ী।
করতল যদি খুব পাতলা হয়, তবে শুক্র বন্ধনী অনেক সময় কিছু প্রিভেনশনের কারক হতে পারে। বিশেষ করে চন্দ্র এবং শুক্র ক্ষেত্র যাদের অপরিণত বা দোষযুক্ত তাদের করতলে শুক্র বন্ধনী কখনওই ভাল ফলের সূচক হয় না। অনেক সময় হিস্টিরিয়া, মৃগি প্রভৃতি রোগের কারকও হয়ে দাঁড়ায় এই শুক্র বন্ধনী। প্রকৃতপক্ষে সার্বিক ভাবে শুক্র বন্ধনী যদি ভাঙা হয় তবে সেটা অগ্নি বা জল শ্রেণির জাতকের করতলে বিপদের সূচক এক কথায় শুক্র বন্ধনী না থাকাই মঙ্গলজনক।