লাল রং: স্মরণাতীত কাল থেকে লাল রং হচ্ছে অগ্নির,প্যাসন বা আবেগ,আসন্ন বিপদ, ধ্বংসের প্রতীক বা চিহ্ন হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। রোমানরা যুদ্ধের বা মিলিটারি ক্ষেত্রে লাল পতাকা ব্যবহার করতো শরীরের অনাল্গ্রন্থিগুলিকে (এন্ডোক্রাইন গ্ল্যান্ড) জাগাতে বা স্টিমুলেট করতে। এরফলে এড্রিনাল হরমোনের ক্ষরণ বৃদ্ধি পাওয়াতে তারা বাড়তি শক্তি অনুভব করতো। স্পারটারাও ঐ একই কারণে লাল ফ্ল্যাগ ব্যাবহার করে থাকতো। গ্রীকদের যুদ্ধের দেবতা মার্স লাল রঙের রথ ব্যাবহার করত। জ্যোতিষ মতে চূনী ব্যাবহার করা হয় লাল রঙের জন্য।
হলুদ রং: এই রং বুদ্ধি বা অনুভবের প্রতীক। সেই অর্থে ততটা যুক্তির প্রতীক নয়। প্রাচীনকালে এই রং প্রানিক শক্তির প্রতীক ছিল। হলুদের দিকে এক দৃষ্টে চেয়ে থাকলে একটা বিরক্তিকর ভাব আসে। সেই অর্থে এই রঙের সঙ্গে যুক্ত বিশ্বাসঘাতকতা, দুর্বলতা, প্রতারনা ইত্যাদি। লোকে হয়ত এই কারণে বলে “ইয়লো জার্নালিজুম”। আবার চিনে এই রং মহৎ-এর প্রতীক। জ্যোতিষে প্রবাল বা লাল পলা ব্যাবহার হয় হলুদ জ্যোতি পেতে।পলা ব্যাবহার করলে এনিম্যাল ইন্সটিং বৃদ্ধি পায়।
কমলা রং: কমলা হচ্ছে তাপ বা হিট-এর প্রতীক, উন্নতির প্রতীক। তাই জ্বর হলে শরীরে মুক্ত ধারন করা থাকলে খুলে রাখতে বলা হয়ে থাকে। কারণ, মুক্ত থেকে কমলা রং বিচ্ছুরণ হয় যা উষ্ণ বা তাপ বর্দ্ধক।
সবুজ রং: সবুজ রং আসার প্রতীক, নতুন জীবনের প্রতীক ও শক্তি, উর্বরতার এবং বৃদ্ধির প্রতীক। সবুজ শান্তির ও বিশ্রামের রং। এই রং ক্লান্তি হরণ করে আমদের তরতাজা করে। আবার ঘন গাড় সবুজ হলো ঈর্ষা, কুসংস্কার ও হিংসার প্রতীক। জ্যোতিষে পান্না ব্যাবহার করা হয়ে থাকে বিচ্ছুরিত সবুজ আলো পাওয়ার জন্য।
নীল রং: এই রং অনুভবের রং। উচ্চ মনের প্রতীক। এটা বোঝায় প্রকৃত ভক্তি, আনুগত্য ও প্রশান্ত আবহাওয়া। কোথাও কোথাও এই রং দুঃখ ও বিচ্ছিন্নতারও প্রতীক। আবার আমেরিকার পতাকায় নীল রং আনুগত্য ও বিশ্বস্ততার প্রতীক। জ্যোতিষে মুন স্টোন বা পোখরাজ বা টোপাজ ব্যাবহার করা হয় নীল আলো পাবার জন্য।
পারপেল বা ময়ূরপঙ্খী রং: এই রং মর্যাদা, আভিজাত্য, রাজকীয় সন্মানের প্রতীক। পারপেল আবার উন্মাদনারও প্রতীক।
কালো রং: কালো মানেই ডেভিল বা শয়তান–এ তত্ব মোটামুটি প্রায় সব দেশই মানে। কালো যা আলো নয়। কালো মানেই মৃত্যুর, বিশ্বাসঘাতকতার ও ভয়ের প্রতীক।
সাদা রং: সাদা শুদ্ধতার ও পবিত্রতার প্রতীক। সাদা মানেই প্রজ্ঞান। খ্রীষ্টের বা শ্রীকৃষ্ণের প্রভা।