চন্দ্রগ্রহণের সময় এড়িয়ে চলুন শারীরিক সম্পর্ক। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
সমুদ্রমন্থন কালে যে অমৃত পাওয়া গেল, সেই অমৃত নিয়ে দেবতা ও অসুরের মধ্যে লড়াই বেধে গেল। সেই দ্বন্দ্ব বা যুদ্ধ বা লড়াই থামাতে ভগবান বিষ্ণু মোহিনী মায়ায় স্ত্রীরূপ ধারণ করে দানবদের কাছে যান। দানবেরা বিষ্ণুর মোহিনী রূপ দেখে মোহিত হয়ে যান, তাঁকে বিশ্বাস করে তাঁর হাতে অমৃতভাণ্ডার সমর্পণ করেন।
মোহিনী রূপী বিষ্ণূ দেবতা ও দানবদের শ্রেণিবদ্ধ ভাবে বসিয়ে উভয়ের মধ্যে সম ভাবে অমৃত বণ্টন করার নামে ছলনা করে শুধুমাত্র দেবতাদেরকেই অমৃত পান করাচ্ছিলেন। আর অসুরদের সোমরস পান করাচ্ছিলেন।
দানব খুব চালাক, সে মোহিনীরূপী বিষ্ণুকে চিনে ফেলে, চুপিসারে দেবতাদের মধ্যে গিয়ে বসে পড়ে, আর মোহিনীরূপী বিষ্ণূ কিন্তু রাহুকে দেবতা মনে করে তাকে অমৃত দান করেন।
চন্দ্র ও সূর্য দূর থেকে রাহুকে চিনতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে মোহিনীরূপী বিষ্ণুকে জানিয়ে দেন। আর সঙ্গে সঙ্গে বিষ্ণু দানব রাহুর মুণ্ডচ্ছেদ করেন, ইতিমধ্যে অমৃত রাহুর পেটে চলে যাওয়ার আগেই রাহুর মুণ্ড অমৃত পেয়ে যায়, তাই রাহু মুণ্ড অমরত্ব লাভ করে আজও বেঁচে রয়েছে। আর সেই কারণে চন্দ্র ও সূর্যের সঙ্গে তার চিরকালের শত্রুতা। আর গ্রহণের সময় তাই রাহু চন্দ্র ও সূর্যকে গিলতে যায়।
ওই সময় আধিভৌতিক নিয়মে অন্ধকার, অন্ধকার মানেই নেগেটিভ প্রিওড। রাহু সব সময় নেগেটিভ গ্রহ। রাহু জন্ম ছকে কখনও ভাল করে না। এমনিতে গোচরে চন্দ্র যখন কারও জন্মছকে রাহুর উপর দিয়ে অতিক্রম করার সময় বা গোচরের রাহুর উপর দিয়ে চন্দ্র অতিক্রম করলে যত রকম অপরাধ হতে পারে তাই হয়। এটা যে কেউ প্রমাণ করে দেখতে পারেন।
আর গ্রহণ মানে রাহুর সংস্পর্শে যাওয়া। তাই গ্রহণের সময় সহবাস ভয়ঙ্কর ক্ষতিকর হয় যদি ওই সময় সন্তান গঠনের প্রক্রিয়া চলে। ওই সময়ের সন্তান মানে রাহুর ঔরসে সন্তান মানে দানবসন্তান। পৃথিবীর প্রায় সব অকাল্টিস্ট, সাইকিক, অতীন্দ্রবাদীরা ওই সময়ে যৌন সহবাস করতে নিষেধ করে থাকেন। পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, জন্মসময়ে রাহু লগ্নে থাকলে জাতক ধর্ষণ, যৌন অত্যাচার, খুন, চুরি সমেত যত রকমের ক্রাইম আছে তা করে।