ভারতবর্ষে ভূত বা ভবিষ্যত সম্পর্কে বলার জন্য সর্বাধিক জনপ্রিয় পদ্ধতিটি হল জন্মকোষ্ঠী বা জন্মকুণ্ডলী। এই বিদ্যা ছাড়াও অন্য একটি বিদ্যা বর্তমানে আছে, যার দ্বারা সুচারুরূপে ভবিষ্যদ্বাণী করা সম্ভব। সেই বিশেষ পদ্ধতির নাম হল ট্যারো। এই ট্যারো পদ্ধতিতে কিছু চিত্রাঙ্কিত কার্ডের সাহায্যে বলে দেওয়া সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ।
এখন দেখে নেওয়া যাক ট্যারোর ‘দি ম্যাজিশিয়ান’ কার্ডের অন্তর্নিহিত অর্থ—
এই ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে একজন আলখাল্লা পরিহিত যুবা পুরুষ ডান হাতে একটি যাদুদণ্ড উপরে তুলে দাঁড়িয়ে আছে। তার বাঁ হাতটি ফুল, লতা, পাতা দিয়ে ঢাকা ভূমির দিকে এমন ভাবে অঙ্গুলী নির্দেশ করছে যেন আধ্যাত্মিকতার সঙ্গে বাস্তবের ভূমির সম্পর্ক স্থাপন করবার ইঙ্গিত দিচ্ছে। তার চোখ দু’টি টেবিলের ওপর রাখা পঞ্চভূজ কবচ, পেয়ালা, তলোয়ার বা যাদুর যন্ত্রগুলির ওপর দৃষ্টিপাত করছে। তার মাথার ওপর ভেসে আছে অনন্ত বা অসীম সংখ্যা। এই অসীমতার চিহ্ন জীবনে পরম জ্ঞানকেই নির্দেশ করে। অর্থাৎ জ্ঞান হল অসীম, অনন্ত জ্ঞানের কোনও শেষ নেই। টেবিলের পায়াগুলি জ্ঞানের দুনিয়ায় সচেতনতা বৃদ্ধিকেই নির্দেশ করছে। রঙ্গীন ফুল ও যুবাপুরুষটির আলখাল্লা বস্তুতান্ত্রিক ও আধ্যাত্মিক জগতের সমন্বয়কেই বোঝাচ্ছে।
দি ম্যাজিশিয়ান কার্ডের অন্তর্নিহিত অর্থঃ
এই কার্ডটি যিনি বাছবেন তাঁর হবেন সচেতন। অনুসন্ধিৎসু জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে তিনি জীবনে পরিপূর্ণতা লাভ করবেন। এই কার্ডে অচেতন মনের প্রাথমিক স্তরের রূপান্তরিতকরণের পদ্ধতি বোঝাতেই এখানে ম্যাজিক বা জাদুর রূপকের সাহায্য নেওয়া হয়েছে। ম্যাজিক বা জাদু বেশির ভাগ সময়েই প্রবল ইচ্ছাশক্তির প্রতিভূ। এই ব্যক্তির ইচ্ছাশক্তির সঠিক প্রয়োগ নির্ভর করে তার মানসিক শক্তি ও কাজ করবার আগ্রহের ওপরে। ঐশ্বরিকতার উন্মেষ ঘটাতে এই ব্যক্তি বাকশক্তির প্রয়োগ করে থাকেন।