ডিভোর্স এড়াতে কোন জন্মমাসের পাত্রপাত্রীকে বিয়ে করা উচিত (প্রথম অংশ)

এখানে আমরা দেখব, পাত্র/পাত্রীরা বিশেষ কিছু মাসের জাতক/জাতিকাকে জীবনসঙ্গী বা সঙ্গিনী হিসেবে বেছে নিতে বিশেষ উদগ্রীব, আবার বিশেষ কিছু মাসকে এড়িয়ে চলতে চায়। আর জানব, কোন জন্মমাসের সঙ্গে বিয়ে হলে ব্যাপক হারে ডিভোর্স হয়, আর হলে কেন হয়।

Advertisement

কৃষ্ণপ্রেম

শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০১৯ ০১:২০
Share:

আপনি জানুন বা না জানুন, এটা স্বীকার করতেই হবে, বিয়ের সঙ্গে জন্মমাসের এক রকম অদৃশ্য সংযোগ রয়েছে। প্রাশ্চাত্যেj বিশেষ কিছু জায়গায় ডিভোর্স নিয়ে গবেষণা হয়েছিল, নীচের আলোচনা সেই গবেষণার সংক্ষিপ্ত অংশবিশেষ। এখানে আমরা দেখব, পাত্র/পাত্রীরা বিশেষ কিছু মাসের জাতক/জাতিকাকে জীবনসঙ্গী বা সঙ্গিনী হিসেবে বেছে নিতে বিশেষ উদগ্রীব, আবার বিশেষ কিছু মাসকে এড়িয়ে চলতে চায়। আর জানব, কোন জন্মমাসের সঙ্গে বিয়ে হলে ব্যাপক হারে ডিভোর্স হয়, আর হলে কেন হয়।

Advertisement

১) যাদের জানুয়ারি মাসে জন্ম:

সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, যে সব মহিলার জন্ম জানুয়ারি মাসে, তাঁরা চান তাঁদের স্বামীর জন্মমাস যেন ২ মাস পরে হয়। এই কারণে যে সব মহিলা জানুয়ারি মাসে জন্মেছেন তাঁরা সব সময় মার্চ মাসে জন্মেছেন এমন পুরুষদের স্বামী হিসেবে বেশি পছন্দ করে থাকেন। কম পছন্দ করেন সেই সব পুরুষকে যাঁরা অক্টোবরে জন্মেছেন। আর একদমই বিয়ে করতে পছন্দ করেন না সেই সব পুরুষকে যাঁরা জুন, অগস্ট ও নভেম্বরে জন্মেছেন।

Advertisement

যে সব পুরুষ জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে জন্মেছেন তাঁরা সেই সব মহিলাকে বেশি করে পছন্দ করেন যাঁরা অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে জন্মেছেন। আর যে মহিলারা জুলাই বা সেপ্টেম্বরে জন্মেছেন তাঁরা একদমই ওই মহিলাদের বিয়ে করতে চান না।

২) যাঁদের ফ্রেব্রুয়ারিতে জন্ম

সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, যে সব মহিলা ফ্রেব্রুয়ারি মাসে জন্মগ্রহণ করেছেন তাঁরা সব সময় বিয়ে করতে চান সেই পুরুষদের যাঁরা ফ্রেব্রুয়ারি বা এপ্রিলে জন্মেছেন। তাঁদের মধ্যে খুব সামান্য কয়েক জনই বিয়ে করতে চান সেই পুরুষদের যাঁরা জুলাই, অক্টোবর ও ডিসেম্বরে জন্মেছেন।

সমীক্ষায় দেখানো হয়েছে, যে মহিলারা ফ্রেব্রুয়ারিতে জন্মেছেন তাঁদের ডিভোর্সের হার খুব বেশি। একই ভাবে, যে সব পুরুষ জুলাইয়ে জন্মেছেন, তাঁদের মধ্যে ডিভোর্সের হার বেশি।

যে সব পুরুষ ফ্রেব্রুয়ারিতে জন্মেছেন তাঁরা সেই মহিলাদের বিয়ে করতে বেশি পছন্দ করে থাকেন যাঁরা ফ্রেব্রুয়ারি বা অক্টোবরে জন্মেছেন।

তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার হল, ফ্রেব্রুয়ারিতে জন্মানো পুরুষদের সঙ্গে মে মাসে জন্মানো মহিলাদের যদি বিয়ে হয় তবে সেই বিয়ের ফলাফল বহু ক্ষেত্রেই ভাল হয় না। ওই সমীক্ষায় দেখানো হয়েছে, এ ক্ষেত্রে বিবাহ বিচ্ছেদের হার বেশি।

৩) যাঁদের মার্চ মাসে জন্ম:

সমীক্ষায় বলা হয়েছে, যে সব মহিলা মার্চে জন্মেছেন, তাঁদের সেই অর্থে কোনও নির্দিষ্ট পছন্দ নেই। তাঁরা যে কোনও মাসে জন্মানো পুরুষদের বিয়ে করতে পারেন, তবে সেখানে দুটো শর্ত চাপানো হয়েছে। এই মহিলারা সেই পুরুষদের তেমন পছন্দ করেন না যাঁদের ফ্রেব্রুয়ারি ও অগস্টে জন্ম।

আরও পড়ুন: বিবাহ বিচ্ছেদ থেকে অপযশ, অশুভ মঙ্গল আর যা যা ক্ষতি করতে পারে

মার্চে জন্মানো পুরুষকে সব সময় জানুয়ারিতে জন্মানো নারী বিয়ে করতে চান। কিন্তু যে নারী জুলাইয়ে জন্মান, তিনি মার্চে জন্মানো পুরুষকে বিয়ে করতে খুব একটা পছন্দ করেন না।

ওই সমীক্ষায় দেখানো হয়েছে, মার্চে জন্মানো পুরুষের সঙ্গে যদি জুলাইয়ে জন্মানো নারীর বিয়ে হয় তা হলে সেখানে বিবাহবিচ্ছেদের হার শতকরা ৮% বেশি।

৪) যাঁদের এপ্রিলে জন্ম:

যে সব মহিলা এপ্রিলে জন্মগ্রহণ করেছেন তাঁরা বিয়ে করতে চান জুন বা জুলাইয়ে জন্মানো পুরুষদের। এই মহিলারা কিন্তু সেপ্টেম্বর ও নভেম্বরে জন্মানো পুরুষদের বিয়ে করতে সে ভাবে আগ্রহী নন।

আবার এপ্রিলে জন্মানো পুরুষেরা ফ্রেব্রুয়ারিতে জন্মানো মহিলাদের বিয়ে করতে বিশেষ ভাবে আগ্রহী। আবার যে মহিলাদের জন্ম জানুয়ারি বা মে-তে, তাঁদের বিয়ে করতে এপ্রিলে জন্মানো পুরুষেরা অতটা আগ্রহী নন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন