ফাঁড়া বা দুর্ঘটনা কাটানোর সহজ কিছু উপায়

ভারতীয় জ্যোতিষ মতে জন্মছকে কেতুর দশা-অন্তর্দশা দেখে ফাঁড়া বলা সম্ভব হয়। মঙ্গল এবং কেতুর অবস্থান থেকে দুর্ঘটনায় মৃত্যু আছে কি না তাও বলা যায়।

Advertisement

শ্রীমতী অপালা

শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০১৮ ০০:০৬
Share:

ভারতীয় জ্যোতিষ মতে জন্মছকে কেতুর দশা-অন্তর্দশা দেখে ফাঁড়া বলা সম্ভব হয়। মঙ্গল এবং কেতুর অবস্থান থেকে দুর্ঘটনায় মৃত্যু আছে কি না তাও বলা যায়। যে কোনও ফাঁড়াই আমাদের জীবনকে তছনছ করে দিতে পারে। ফাঁড়া অনেক রকম ভাবে আসতে পারে, যেমন, দুর্ঘটনার ফলে ফাঁড়া, কারও ষড়যন্ত্রের শিকার হওয়া, হঠাৎ বড় কোনও রোগের ফাঁড়া, তীর্থে গিয়ে ফাঁড়া, ইত্যাদি। ফাঁড়া বা দুর্ঘটনা কাটানোর নিম্নে সহজ কতগুলি উপায় দেওয়া হল—

Advertisement

(১) কেতু, মঙ্গল ও রাহু যদি খারাপ থাকে, তা হলে সময় থাকতে প্রতিকার করুন, একদম দেরি করবেন না।

(২) বাড়িতে অশুভ শক্তি আটকাতে, বাড়ির প্রবেশ দ্বারের ওপর হনুমানজীর মূর্তি স্থাপন করুন।

Advertisement

(৩) বাড়িতে বাস্তু দোষ আছে কি না তা জেনে নিন। থাকলে তার খুব দ্রুত প্রতিকার করুন।

(৪) ভারতীয় মত অনুযায়ী মহা মৃত্যুঞ্জয় কবচ ধারণ করুন।

(৫) স্নানের সময় নাভিতে ও বুড়ো আঙুলের নখে অবশ্যই সর্ষের তেল লাগান। তাতে অকাল মৃত্যুর সম্ভাবনা দূর হবে।

(৬) প্রত্যেক মঙ্গল ও শনিবার হনুমানজীকে লাড্ডু ও মেটে সিঁদুর দিয়ে আয়ু ও দীর্ঘ জীবন প্রার্থনা করুন।

(৭) সন্তানের ফাঁড়া থাকলে মা, বাবা, স্বামীর ফাঁড়া থাকলে স্ত্রী কায়মনোবাক্যে এবং বিধিমতে শিবের পূজা করুন।

আরও পড়ুন: মঙ্গল গ্রহ কুপিত? কী করবেন দেখে নিন

মানুষের জন্ম, মৃত্যু ও বিয়ে, কথায় বলে এই তিনটি ঘটনা ঈশ্বরের ওপর নির্ভর করে। সঠিক সময় বা কখন, কোথায়, কী ঘটবে তার সব কিছুই ঈশ্বর নির্দিষ্ট। অর্থাৎ পূর্ব জন্মের কর্মফলের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এ যুগে মানুষের জন্ম ও বিবাহ কিয়দংশে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হলেও, মৃত্যু কী ভাবে, কখন, কোথায় হবে তা বলা অত্যন্ত কঠিন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন