মা। এই শব্দটি কত মধুর এবং শ্রবণপ্রিয়। এই শব্দটির মধ্যে নিহিত আছে স্নেহ-মমতা, সেবা-যত্ন, আদর-সোহাগ, আরও কত কিছু। মা শুধু সন্তানকে পরম যত্নে গর্ভে ধারণই করেন না, পরবর্তীকালেও সন্তানের শৈশবকাল থেকে বেড়ে ওঠার সঙ্গে মায়ের যত্ন, স্নেহের পরশ সন্তানকে জড়িয়ে থাকে। সন্তান মায়ের সাহায্যে নিজের পায়ে দাঁড়াতে শেখে, জীবনে সঠিক পথে এগিয়ে চলার প্রেরণা পায়। তাই তো মা অর্থাৎ জননীকে স্বর্গের চেয়েও শ্রেষ্ঠ বলা হয়েছে। এই ‘মা’ এর বিষয়ে বিচার করবার সময় চতুর্থ ভাব, চতুর্থ ভাবের অধিপতি এবং চন্দ্রের উপর নজর রেখে বিচার করা উচিত।
এখন মাতার (চতুর্থ ভাব) সঙ্গে সম্বন্ধ যুক্ত বিশেষ যোগের ওপর বিচার করা যাক—
১। চতুর্থ ভাবে শুভ গ্রহ থাকলে অথবা শুভ গ্রহের দৃষ্টি থাকলে মাতৃ সুখ লাভ হয়।
২। চতুর্থ ভাবের অধিপতি কেন্দ্র শুভ গ্রহের সঙ্গে যুক্ত দৃষ্ট হলে মাতৃসুখ লাভ হয়।
৩। চন্দ্র শুভ গ্রহের প্রভাবে থাকলে মাতৃ সুখ হয়।
৪। লগ্নের অধিপতি চতুর্থ ভাবে অবস্থান করলে অথবা চতুর্থ ভাবের অধিপতি লগ্নে অবস্থান করলে জাতক মাতার স্নেহ লাভ করে।
৫। লগ্নের অধিপতি চতুর্থ ভাবে অবস্থান করে পরিবর্তন যোগ সৃষ্টি করলে জাতক মাতার প্রভূত স্নেহ লাভ করে।
৬। চতুর্থ ভাবের অধিপতি তথা চন্দ্র চতুর্থ ভাবে হলেও মাতৃসুখ লাভ হয়।
৭। চতুর্থ ভাবের অধিপতি কেন্দ্রে উচ্চ এবং স্বরাশিস্থ হলে জাতক মাতৃসুখ লাভ হয়।
(ক্রমশ)