আধ্যাত্ম মতে যৌন সমস্যার বিভিন্ন কারণ আছে। এক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গ ব্যাখ্যা করার অবকাশ না থাকলেও মুখ্য বিষয়গুলো উল্লেখ করা হল।
যে সমস্ত কারণে যৌন সমস্যা হতে পারে দেখে নিন-
১। একাদশী, অমাবস্যা, পূর্ণিমা তিথির শুরু থেকে শেষ হওযার মধ্যবর্তী এবং শনি মঙ্গলবার সূর্যোদয় থেকে পরের দিন সূ্র্যোদয়ের মধ্যবর্তী কালে রতিক্রিয়ায় মিলিত হলে।
২। রতিক্রিয়া ক্ষণে জাতিকার মাথা উত্তর বা ঈশান কোণে থাকলে।
৩। রজঃস্বলাকালে জাতিকার সঙ্গে রতিক্রিয়ায় মিলিত হলে।
৪। রাশি অনুযায়ী অশুভ দিনক্ষণে বাসর শয্যায় (বিবাহ) মিলিত হলে।
৫। ধর্মপরায়ণা কোনও নারীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে বলপূর্বক তার সঙ্গে রতিক্রিয়ায় মিলিত হলে।
৬। বিকৃত মস্তিষ্কের জাতিকার সঙ্গে রতিক্রিয়ায় মিলিত হলে।
৭। সন্তানের সামনে তার মায়ের সঙ্গে বলপূর্বক বা অর্থের লোভ দেখিয়ে রতিক্রিয়ায় মিলিত হলে।
৮। কোনও পশুর সঙ্গে রতিক্রিয়ায় মিলিত হলে।
৯। কোনও বিধবা নারীর সঙ্গে বলপূ্র্বক রতিক্রিয়ায় মিলিত হলে ঐশ্বরিক প্রকোপে পুরুষের যৌনশক্তি হ্রাস পায়। কোনও কোনও ক্ষেত্রে নপুংসকতাও দেখা দেয়। মনে রাখা বাঞ্ছনীয়, সশব্দে মুখে দেওয়া অভিশাপ কার্যকর নাও হতে পারে, কিন্তু নিঃশব্দ আর্তনাদ বা হা- হুতাশ সর্বক্ষেত্রেই কার্যকর হয়ে থাকে এবং জীবনযাপন ওষ্ঠাগত হয়ে উঠবে।
প্রসঙ্গক্রমে জানিয়ে রাখি, রাহু এবং শুক্রের প্রভাবে প্রভাবিত জাতক-জাতিকার চরিত্রে এমন পরিবর্তন এসেছে, যা ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব। কারণ বহু ক্ষেত্রে জাতক বলপূর্বক কোনও নারীকে ধর্ষণ করছে, আবার জাতিকাকে অবাধ চরিত্রহীনা হতেও দেখা গিযেছে। আর ঠিক সেই সময়কালে রাশিগৃহ, রাশ্যাধিপতি, চন্দ্র এবং বুধ যদি কোনও ভাবে পীড়িত হয়ে থাকে, তা হলে জাতক বা জাতিকা দুর্নামের ভাগীদার হয়ে থাকে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে আইনের জালে জড়িয়ে পড়তেও দেখা গিযেছে। কিন্তু বহু ক্ষেত্রে কেতুর প্রভাব থাকায় ওই ক্রিয়াটি এতটাই গোপনীয়তায় হয়ে থাকে যা সহজে কেউ বুঝতে পারে না। আবার একথাও সত্য, উক্ত সময়কালে কেতু-সহ শুক্র কিংবা বৃহস্পতি নির্দিষ্ট স্থানে নির্দিষ্ট নক্ষত্রে অবস্থানরত হলে ধর্ষকের বিরুদ্ধে সহসা কেউ মুখ খুলতে চায় না।