যে কোনও জন্মকুণ্ডলীতে দ্বাদশ ভাবের মধ্যে চতুর্থ, ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও দ্বাদশ ভাব থেকে এই আসক্তি বিচার্য। দ্বাদশ রাশির ক্ষেত্রে বৃশ্চিক ও মীন রাশি এই আসক্তির ক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা নেয়। কারণ দুই রাশির নারী গোপন প্রকৃতির এবং স্বভাবজাত ভাবে স্থির নয়।
পরপুরুষে আসক্তির সূত্রাবলী দেখে নেওয়া যাক—
১। দুর্বল ও পাপগ্রহ দৃষ্ট বা যুক্ত মঙ্গল ও শুক্র যদি লগ্নকুণ্ডলীতে চতুর্থ, ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও দ্বাদশ ভাবে অবস্থান করে, তা হলে যৌন তাড়না বৃদ্ধি পায়। মঙ্গল যদি একাধিক কুপ্রভাব যুক্ত হয়, তা হলে নারী একাধিক সম্পর্কে লিপ্ত হবে।
২। সপ্তম ভাবে যদি পাপগ্রহ দৃষ্ট মঙ্গল থাকে তখন নারী এমন পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে লিপ্ত হবে, যার একাধিক সম্পর্ক পূর্বেই রয়েছে। স্বেচ্ছায় ব্যভিচার বা বেশ্যাবৃত্তির ক্ষেত্রে এই যোগ থাকে।
৩। রাহু দ্বাদশ ভাবে অবস্থিত হয়ে শনি ও মঙ্গল পাপগ্রহ দ্বারা দৃষ্ট হলে অথবা শুক্র যুক্ত রাহু হলে পরপুরুষে আসক্তি হবে।
৪। যদি সপ্তম ভাবে শনি, মঙ্গল ও চন্দ্র অবস্থান করে এবং এই গ্রহগুলোর ওপরে কোনও শুভ গ্রহের প্রভাব না থাকে, তা হলে প্রচণ্ড রকম পরপুরুষে আসক্তি থাকবে, কিন্তু মানসিক শান্তি কোনও দিন থাকবে না।
৫। সপ্তম ও অষ্টম ভাবের অধিপতি যদি চন্দ্র ও মঙ্গল হয় এবং এই দুই ভাব যদি শনি ও রাহু দ্বারা প্রভাবিত হয়, তা হলে পরপুরুষে আসক্তি হবে যা কষ্টপ্রদ প্রতিপন্ন হবে পরবর্তী কালে।
৬। লগ্নাধিপতি ও চন্দ্রের মধ্যে যে গ্রহ বলবান তার ওপরে যদি পাপগ্রহ শনির প্রভাব থাকে, তবে পরপুরুষে আসক্তি বাড়ে।
৭। ষষ্ঠ ভাবে যদি চন্দ্র ও শুক্র পাপগ্রহ দৃষ্ট হয় অথবা সপ্তম ভাবাদিপতি যদি রাহুর সঙ্গে স্থান বিনিময়, দৃষ্ট ও যুক্ত হয়, তা হলে পরপুরুষে আসক্তি অবশ্যম্ভাবী।