muder

Murder in Bengaluru: বাবার স্মরণসভায় দাদুর কানে ১০ বছরের শিশু ফাঁস করল খুনির কথা, গ্রেফতার অভিযুক্ত

৪০ বছরের এন রাঘবেন্দ্রকে ২৭ ডিসেম্বর বেঙ্গালুরুর ডোডাবল্লাপুরের কারেনাহাল্লিতে তার বাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২২ ১৭:০৭
Share:

গ্রাফিক: সনৎ সিংহ

বাবার খুনিকে ধরিয়ে দিল ১০ বছরে খুদে। স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে ধরে নিয়ে প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছিল মৃত ওই ব্যক্তির। কিন্তু বাধ সাধল ছেলে। পাল্টে গেল ঘটনাক্রম।

কী হয়েছিল ঘটনাটি? ৪০ বছরের এন রাঘবেন্দ্রকে ২৭ ডিসেম্বর বেঙ্গালুরুর ডোডাবল্লাপুরের কারেনাহাল্লিতে তার বাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। রাত ২টো নাগাদ তার স্ত্রী শৈলজা দেওর শেখরকে বাড়িতে ডেকে জানান মৃগী রোগে আক্রান্ত হয়েছেন রাঘবেন্দ্র। দু’জনে মিলে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান। পরীক্ষা করে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

Advertisement

দু’সপ্তাহ পরে তাঁর স্মৃতির উদ্দেশ্যে প্রার্থনার জন্য পরিবারের সদস্যরা জড়ো হন। সেইখানে এক মেয়ে ও ছেলে নিয়ে হাজির ছিলেন শৈলজা। তার পরই বদলে গেল সব কিছু।

সেই প্রার্থনা সভায় দাদু নানজুন্দাপ্পার সঙ্গে কথা বলার সময় রাঘবেন্দ্রর ছেলে জানায় বাবা মারা যাওয়ার সময় অন্য এক জন উপস্থিত ছিলেন। এর পর নানজুন্দাপ্পা তাঁর ছোট ছেলে শেখরকে বিষয়টি জানান।

Advertisement

কী জানিয়েছিল ওই দশ বছরের ছেলেটি?

দাদুকে সে বলে, গভীর রাতে হঠাৎ একটা শব্দে তার ঘুম ভেঙে যায়। চোখে খুলে সে দেখে মা বাবাকে চেপে ধরেছে। অন্য এক ব্যক্তি ভারী কিছু একটা দিয়ে বাবার মাথায় মারছেন। তখন সে আঁতকে উঠে জিজ্ঞাসা করে, ‘‘তোমরা কেন আমার বাবাকে মারছ।’’ তখন ওই লোকটি তাকে ধাক্কা মেরে বলে, ‘‘মুখ বন্ধ করে রাখবি। কাউকে কিছু বলবি না। বললে শেষ করে দেব।’’ ভয় পেয়ে সে বিছানায় চুপ করে শুয়ে পড়ে।

এর পর শেখর অর্থাৎ বাচ্চাটির কাকা তাদের বাড়ির পাশে দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ দেখেন। দেখা যায় গভীর রাতে এক ব্যক্তি বাড়িতে ঢুকছেন। এই ভিডিয়ো দেখার পর তিনি পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন।

পুলিশ শৈলজা, তার মা লক্ষ্মীদেবমা এবং হনুমন্ত নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় একটি কাপড়ের কারখানায় কাজ করতেন শৈলজা এবং হনুমন্ত। তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই সম্পর্ক নিয়ে একাধিবার প্রশ্ন করেন রাঘবেন্দ্র। পুলিশ জানিয়েছে, তার পরই তাঁরা দু’জনে তাঁকে খুন করার সিদ্ধান্ত নেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন