হাইকোর্টকে চিঠি ১১ কিশোরী বধূর

তেলঙ্গানার নানা এলাকায় এখনও নাবালক বিবাহের চল রয়েছে বিপুল হারে। হাইকোর্টকে লেখা বি মহালতা ও আরও ১০ জন কিশোরীর ওই চিঠিতে ফুটে উঠেছে এই প্রথার নানা দিক।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

হায়দরাবাদ শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০২:৫৫
Share:

খুব ছোট বয়সে বিয়ে হয়েছিল। তার ফলে সব দিক থেকেই বিপাকে পড়েছেন তাঁরা। নিজেদের অবস্থার কথা জানিয়ে হায়দরাবাদ হাইকোর্টকে চিঠি লিখেছিলেন এমন ১১ জন কিশোরী। তাঁদের সেই চিঠিকে জনস্বার্থ মামলার আবেদন হিসেবে গ্রহণ করল হাইকোর্ট। আগামী সপ্তাহে এই মামলার শুনানি হতে পারে।

Advertisement

তেলঙ্গানার নানা এলাকায় এখনও নাবালক বিবাহের চল রয়েছে বিপুল হারে। হাইকোর্টকে লেখা বি মহালতা ও আরও ১০ জন কিশোরীর ওই চিঠিতে ফুটে উঠেছে এই প্রথার নানা দিক। অনেক মেয়েই কম বয়সে সন্তানসম্ভবা হচ্ছেন। সেই অবস্থাতে বা প্রসবের সময়ে অনেকের মৃত্যু হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে সদ্যোজাতের গুরুতর শারীরিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। পরে নানা সমস্যা দিচ্ছে নাবালিকা মায়েদের শরীরেও। হাইকোর্টের জনস্বার্থ মামলার নথি অনুযায়ী, অনেক সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের সুবিধেই পান না এই মেয়েরা। তাঁদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য কোনও হোমও নেই।
অনেক ক্ষেত্রেই তাঁরা শ্বশুরবাড়িতে ফিরে যেতে বাধ্য হন। সেখানে হিংসা ও অত্যাচারের শিকার হন এই কিশোরী বধূরা। তাঁদের অনেকের অভিভাবকের পক্ষেই সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের সুবিধে পেতে কোর্টের দ্বারস্থ হওয়া সম্ভব নয়। অনেকে আদালতে গেলেও দীর্ঘসূত্রিতার ফলে ন্যায়বিচার পাচ্ছেন না।

জনস্বার্থ মামলার নথি অনুযায়ী, সব নাবালক বিয়েকেই অবৈধ ঘোষণা করা উচিত। নাবালক বিয়ের যাঁরা শিকার তাঁদের জন্য সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৫ শতাংশ সংরক্ষণ প্রয়োজন। তাঁরা যাতে আর্থিক ভাবে স্বনির্ভর হতে পারেন সে জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণও দিতে হবে। স্বনির্ভর না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের আর্থিক সাহায্য প্রয়োজন হবে। শিশু উন্নয়ন প্রকল্প ও রেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে এমন কিশোরী বধূ ও তাঁদের সন্তানদের উপযুক্ত খাদ্যের ব্যবস্থাও করা প্রয়োজন।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন