দিল্লির হনুমান মন্দিরে প্রার্থনা করে ফিরছেন শিখ-বিরোধী দাঙ্গায় দোষী সাব্যস্ত সজ্জন কুমার। মঙ্গলবার। ছবি: পিটিআই।
১৯৮৪ শিখ-বিরোধী দাঙ্গায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পর দিনই কংগ্রেস সভাপতির কাছে চিঠি দিয়ে পদত্যাগ করলেন সজ্জন কুমার।
মঙ্গলবার সকালে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীকে একটি চিঠি লেখেন তিনি। তাতে সজ্জন কুমার লিখেছেন, ‘‘দিল্লি হাইকোর্ট আমার বিরুদ্ধে রায় দেওয়ায় কংগ্রেসের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছি আমি।’’
১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টোবর ইন্দিরা গাঁধীকে খুন করে তাঁর শিখ দেহরক্ষীরা। তার পরেই দেশ জুড়ে শিখ সম্প্রদায়ের উপরে হামলা শুরু হয়। সজ্জন কুমার, জগদীশ টাইটলার-সহ একাধিক কংগ্রেস নেতা সেই হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে।
আরও পড়ুন: শিখ-হত্যায় কংগ্রেস নেতা সজ্জন কুমারের যাবজ্জীবন
১৯৮৪ সালের ১ নভেম্বর দিল্লির রাজনগর এলাকায় একটি শিখ পরিবারের পাঁচ জন সদস্যকে খুন করা ও একটি গুরুদ্বারে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগও আনা হয় সজ্জন কুমারের বিরুদ্ধে। সোমবার ১৯৮৪ সালের শিখ-বিরোধী দাঙ্গা মামলায় রায় দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। তাতে কংগ্রেস নেতা সজ্জন কুমারের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তাঁকে আত্মসমর্পণ করতে হবে। এর পরই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত তাঁর।