চালকের কানে হেডফোন। গান শুনতে শুনতে গাড়ি চালাচ্ছিলেন ওই চালক। এক অভিভাবক চালককে হেডফোন খুলে গাড়ি চালাতে বলেওছিলেন। কিন্তু শোনেননি স্কুল গাড়ির চালক বুদ্ধদেব ওরাঁও। আর এর ফলেই প্রাণ গেল দুই পড়ুয়ার। মারাত্মক জখম তিন খুদে পড়ুয়া।
আজ সকাল সাতটায় লোহারডাগার কাছে ইরগাও ফটক এলাকায় ওই স্কুল গাড়িটি একটি রক্ষী-বিহীন লেভেল ক্রশিং পেরোচ্ছিল। সেই সময় দ্রুত বেগে আসা একটি মালগাড়ির ইঞ্জিন ওই স্কুল গাড়িকে ধাক্কা মারে। ইঞ্জিনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মারা যায় মনোরঞ্জন ওরাঁও (১০) ও রাজকুমার সাহু (৫) নামে দুই স্কুল পড়ুয়া। মনোরঞ্জন ষষ্ঠ শ্রেণির ও রাজকুমার প্রথম শ্রেণির ছাত্র। গুরুতর জখম অবস্থায় রানি, ছোটি ও মণীশ নামে তিন স্কুল পড়ুয়াকে রাঁচির রিমস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জখম গাড়ির চালকও।
এক প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, ইঞ্জিনটি লেভেল ক্রশিং পেরোনর সময় হর্ন দিচ্ছিল। কিন্তু গাড়ির চালক কোনও দিকে না তাকিয়েই রেল লাইন পেরোতে শুরু করে। চালকের কানে হেডফোন ছিল। স্কুলের ডিরেক্টর বৈদ্যনাথ পাণ্ডে বলেন, ‘‘সাধারণত ওই গাড়িতে ২০ থেকে ২৫ জন ছাত্রছাত্রী থাকে। দুর্ঘটনার সময় সব ছাত্রছাত্রী যদি ওই গাড়িতে থাকত তাহলে কী হতো ভাবতেই পারছি না!’’