হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছাত্র।
আর পাঁচটা পিকনিকের শেষেই বা়ড়ি ফিরছিল পড়ুয়ারা। কিন্তু, বাসভর্তি পড়ুয়াদের আনন্দ মুহূর্তেই বদলে গেল বিষাদে। গোটা বাসটি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ায় মুহূর্তের মধ্যে মারা গেল দু’জন পড়ুয়া। আর গুরুতর আহত হলেন বাস কন্ডাক্টর-সহ না পনেরো ছাত্র। রবিবারের তামিলনাডুর থেনি জেলার ঘটনা।
ঠিক কী হয়েছিল?
মাদুরাইয়ের একটি এনজিও-র উদ্যোগে সথুপাড়াই বাঁধ থেকে পিকনিক সেরে বাসে করে ফিরছিল স্কুলপড়ুয়ারা। বাসের জানলার ধারের সিটে বসেছিল ক্লাস টেনের ছাত্র এস মুকেশ। পাশেই ছিল দ্বাদশ শ্রেণির কারথিগাই সেলভান। খোলা জানলার বাইরে তখন পাল্লা দিয়ে দৌড়চ্ছে নারকেল গাছের সারি। মুখ বাড়িয়ে সেদিকেই তাকিয়ে ছিল মুকেশ। হঠাৎই খেলাচ্ছলে জানলার বাইরে হাত বের করে একটি নারকেল গাছের পাতা টেনে ধরে সে। সঙ্গে সঙ্গে সেখানেই লুটিয়ে পড়ে মুকেশ। একই পরিণতি হয় সেলভানেরও। আর তখন গোটা বাসের যাত্রীদের গায়ে দিয়েই বয়ে গিয়েছে বিদ্যুতের ঝলক। গুরুতর আহত হন বাসের সকলেই।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। ঘটনায় আহত ১২ জন ছাত্র, বাসের কন্ডাক্টর, চালক এবং হেল্পারকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, ওই নারকেল পাতাটি ভেজা ছিল। আর তাতে জড়ানো ছিল খোলা বিদ্যুতের তার। ফলে পাতায় হাত দেওয়ামাত্র বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় ওই দুই ছাত্র-সহ গোটা বাসের যাত্রীরা।
পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “তদন্ত শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর পিছনে কারও গাফিলতি আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”