Godhra

গোধরা কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত রফিক গ্রেফতার ১৯ বছর পর, এখনও ফেরার ৩

২০০২-এর ২৭ ফেব্রুয়ারিতে সরবমতী এক্সপ্রেসে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। তাতে ৫৯ জন ‘করসেবক’-এর মৃত্যু হয়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৯:৫৩
Share:

ফাইল চিত্র।

১৯ বছর পর ধরা পড়লেন গোধরা কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত রফিক হুসেন ভাটুক। সোমবার গোধরা শহর থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করে গুজরাত পুলিশ।

Advertisement

২০০২-এর ২৭ ফেব্রুয়ারিতে সরবমতী এক্সপ্রেসে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। তাতে ৫৯ জন ‘করসেবক’-এর মৃত্যু হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গুজরাতে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। ১৫০০ জনের বিরুদ্ধে এফআইর দায়ের হয়। তার পর দিন অর্থাৎ ২৮ ফেব্রুয়ারি রাজ্যজুড়ে হিংসা ছড়ায়। নিহত হন হাজারেরও বেশি মানুষ।

পাঁচমহল জেলার পুলিশ সুপার লীনা পাটিল জানিয়েছেন, গোধরা কাণ্ডে যাঁরা জড়িত ছিলেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম ভাটুক। সেই ঘটনার পর থেকে ফেরার ছিলেন তিনি। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে পাটিল জানিয়েছেন, রবিবার রাতে গোপন সূত্রে পুলিশ খবর পায় যে, গোধরা রেলস্টেশনের কাছে সিগনাল ফালিয়াতে রয়েছে ভাটুক। পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করে।

Advertisement

পাটিল বলেন, “যে দলটি এই ষড়যন্ত্র করেছিল এবং ট্রেনে আগুন ধরানোতে ইন্ধন জুগিয়েছিল সেই দলের অন্যতম পাণ্ডা ভাটুক। শুধু তাই নয়, সবরমতী এক্সপ্রেসে পাথর ছোড়া এবং ট্রেনের বগির ভিতরে পেট্রল ঢেলেছিলেন ভাটুক। পরে সেই বগিতে আগুন জ্বালিয়ে দেন বাকি অভিযুক্তরা।”

পুলিশ জানিয়েছে, গোধরা কাণ্ডের পর থেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন ভাটুক। বেশির ভাগ সময় দিল্লিতেই কাটিয়েছেন। বাড়ির আসবাবপত্র এবং নিজের রিকশা বিক্রি করে দিল্লিতেই দিনমজুরের কাজ করতেন।

পুলিশ সুপার পাটিল জানিয়েছেন, গ্রেফতারি এড়াতে বার বার জায়গা বদলাচ্ছিলেন ভাটুক। পরিবার নিয়ে কখনও দিল্লি, কখনও আবার গুজরাতের সিগনাল ফালিয়ায় থাকা শুরু করেন। সম্প্রতি পুলিশ জানতে পারে সুলতান ফালিয়ায় পরিবারকে রেখে গিয়েছেন ভাটুক এবং বেশ কয়েক বার দিল্লি থেকে এসে দেখাও করে গিয়েছেন। পুলিশের নজর এড়িয়ে এ ভাবেই যাতায়াত করছিলেন। রবিবারই পুলিশের একটি দল গোপন সূত্রে ভাটুকের আসার খবর পেয়ে আগে থেকেই সুলতান ফালিয়ায় জাল বিছিয়ে রেখেছিল। বাড়িতে ঢুকতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

পাটিল বলেন, “গোধরা রেলপুলিশের হাতে ভাটুককে তুলে দেওয়া হবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।” তবে ভাটুক ধরা পড়লেও এই ঘটনায় জড়িত আরও ৩ অভিযুক্ত সেলিম ইব্রাহিম, সৌকত চরখা এবং আবদুল্লা মজিদ ইউসুফ এখনও ফেরার। পুলিশের অনুমান, এই ৩ জন পাকিস্তানে পালিয়ে গিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন