বহেনজিই প্রধানমন্ত্রী-মুখ! ১৪ বছর পরে ভোটে লড়তে চান মায়া

চোদ্দ বছর পরে কৌশল বদলে লোকসভা ভোটে লড়তে চাইছেন ‘বহেনজি’ মায়াবতী। দলের এক নেতার দাবি, পরের লোকসভা নির্বাচনে বহেনজিই প্রধানমন্ত্রী-মুখ। তিনি ভোটে লড়লে দলের কাছেও সেই বার্তা যাবে। তাতে আরও চাঙ্গা হবে দল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০১৮ ০৪:২৭
Share:

মায়াবতী। ফাইল চিত্র।

চোদ্দ বছর পরে কৌশল বদলে লোকসভা ভোটে লড়তে চাইছেন ‘বহেনজি’ মায়াবতী।

Advertisement

দলের এক নেতার দাবি, পরের লোকসভা নির্বাচনে বহেনজিই প্রধানমন্ত্রী-মুখ। তিনি ভোটে লড়লে দলের কাছেও সেই বার্তা যাবে। তাতে আরও চাঙ্গা হবে দল। বহেনজিও বোঝাতে পারবেন, নরেন্দ্র মোদীর মোকাবিলায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ মুখ। সে কারণেই তাঁর জন্য নিরাপদ আসন খোঁজা হচ্ছে। অম্বেডকরনগর আসনটি আসলে বহুজন সমাজ পার্টির (বসপা) দুর্গ। আর গোরক্ষপুর-ফুলপুরে জোটের সাফল্যের পর বিজনৌর আসনটিও বিবেচনাধীন। জোটের সাফল্যে সেখানেও জিতবেন তিনি।

বসপা সূত্রের খবর, বহেনজির ‘ইচ্ছা’ অনুসারে তাঁর জন্য দু’টি আসন খোঁজার প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে। একটি অম্বেডকরনগর, অন্যটি বিজনৌর। রাজনৈতিক জীবনের গোড়ার দিকে বিজনৌর থেকে এক বার জিতেছিলেন মায়াবতী। অম্বেডকরনগর মায়ার পুরনো আসন আকবরপুরের মধ্যেই, যেখান থেকে চার বার সাংসদ হন বহুজন নেত্রী।

Advertisement

অখিলেশ যাদব ইতিমধ্যেই কনৌজ থেকে ভোটে লড়ার কথা জানিয়েছেন। এ বারে মায়াও কৌশল বদলে ভোটে লড়তে চাইছেন। ২০০৪ সালে লোকসভায় লড়েছিলেন তিনি। ২০০৭ সালে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর ঠিক করেছিলেন, আর লোকসভা ভোটে লড়বেন না। তার পর থেকে রাজ্যের বিধান পরিষদ ও কেন্দ্রে রাজ্যসভা থেকেই তিনি জিতে এসেছেন। এ বছরই রাজ্যসভার আসন তিনি ছেড়ে দেন। পরে লালু প্রসাদ বিহার থেকে তাঁকে রাজ্যসভায় লড়ার প্রস্তাব দিলেও মায়া তা খারিজ করেন। উত্তরপ্রদেশে রাজ্যসভা ভোটেও মায়া প্রার্থী হননি। ভীমরাও অম্বেডকরকে প্রার্থী করেছিলেন।

দিল্লিতে কংগ্রেসের এক নেতা বলেন, ‘‘লোকসভা ভোটে মোদীকে পরাস্ত করতে অবশ্যই সব বিরোধী দল একজোট হয়ে লড়বে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হবেন রাহুল গাঁধীই। অখিলেশ যাতে ভবিষ্যতে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন, তাই মায়াবতীকে অবশ্যই পরের কেন্দ্রীয় সরকারে শরিক করা হবে।’’ তবে বসপা-র আশা— প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, তা ভোটের পর স্থির হবে। তবে মায়াবতীর মতো দলিত মুখকে সামনে রেখে ভোটে গেলে বিরোধী জোটের সরকার গড়ার সম্ভাবনা বাড়বে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন