প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্যেই ভাঙা-গড়া হল একাধিক রেকর্ড। আমদাবাদে পিটিআইয়ের তোলা ফাইল চিত্র।
মাত্র দেড় ঘণ্টা! আর তার মধ্যেই গড়ে উঠল একাধিক বিশ্বরেকর্ড!
আন্তর্জাতিক যোগ দিবসকে উপলক্ষ করে সাধারণ মানুষের উৎসাহে সিলমোহর দিয়েছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসও। নয় নয় করে মোট ২৪টি বিশ্বরেকর্ডে স্বীকৃতি দিয়েছে গিনেস।
বুধবার দেশ-বিদেশের নানা জায়গায় যোগ-মঞ্চে জমায়েত হয়েছিলেন অগণিত মানুষ। তবে, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্য গুজরাতেই ভাঙা-গড়া হল একাধিক রেকর্ড। আমদাবাদ-সহ বস্ত্রপুর জেলার চারটি শিবিরে জমায়েত হয়েছিলেন অসংখ্য মানুষ। ঠিক কত জন? প্রায় তিন লক্ষ। শুধুমাত্র বস্ত্রপুরের জিএমডিসি মাঠেই ৫৪,৫২২ জন মানুষ উপস্থিত হয়ে একসঙ্গে যোগ ব্যায়াম করেছেন, যোগ শিক্ষা নিয়েছেন। গুজরাত সরকারের সঙ্গে যৌথ ভাবে ওই অনুষ্ঠানের প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন যোগগুরু রামদেব। তিনিই জানিয়েছেন এ কথা।
আরও পড়ুন
‘চলুন খানিক হেঁটে আসি, লুচি-টুচি পরে হবে’
জিএমডিসি মাঠে গড়েছে দু’টি বিশ্বরেকর্ড। তার মধ্যে একটি, একই জায়গায় একসঙ্গে সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষের যোগশিক্ষার গিনেস রেকর্ড। এর আগে ২০১৫-তে দিল্লির রাজপথে এই একই দিনে ৩৫,৮৮৫ জন একসঙ্গে যোগ শিক্ষা নিয়ে ওই রেকর্ড গড়েছিলেন। এ বার রেকর্ড করল মোদীর শহর। সেই সঙ্গে রাজ্যের একাধিক জায়গায় একসঙ্গে সবচেয়ে বেশি মানুষ যোগশিক্ষা নিয়েও গিনেস রেকর্ড করেছেন। আমদাবাদের জেলাশাসক অবন্তিকা সিংহ অলখ জানিয়েছেন, গিনেস কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই বিশ্বরেকর্ডের শংসাপত্রও তাঁদের পাঠিয়ে দিয়েছেন।
দেশ-বিদেশের নানা জায়গার মতোই গুজরাতেও আন্তর্জাতিক যোগ দিবস শুরুর আগে থেকে তা নিয়ে সাজ সাজ রব পড়ে গিয়েছিল। বাবা রামদেব জানিয়েছেন, ১৮-২২ জুনের মধ্যে আয়োজিত বেশ কয়েকটি প্রাক্-শিবিরেও ২২টি রেকর্ড গড়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে একসঙ্গে সবচেয়ে বেশি মানুষের সূর্য নমস্কার, এক ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি পুশ-আপস করা বা ৫১ ঘণ্টা ধরে যোগ ম্যারাথনের মতো রেকর্ডও। রামদেবের দাবি, প্রাক্-শিবিরে গড়া রেকর্ডগুলিরও স্বীকৃতি দিয়েছে গিনেস।