দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থল। ছবি: পিটিআই।
সকাল থেকেই পুণ্যার্থীরা ভিড় জমাতে শুরু করেছিলেন ডমরি গ্রামে। গঙ্গার ধারে দু’দিনের এক ধর্মীয় শিবিরে যোগ দিতে আশপাশের গ্রাম থেকে আসতে শুরু করেছিলেন তাঁরা। কাছেই ছিল রাজঘাট সেতু। শনিবার দুপুরে সেই সেতু পার হয়েই ডমরি গ্রামের দিকে রওনা দিয়েছিলেন। কিন্তু, অতিরিক্ত ভিড়ের চাপে পদপিষ্ট হয়ে মারা গেলেন অন্তত ২৪ জন পুণ্যার্থী। আহত ৫০। শনিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বারাণসী ও চণ্ডৌলির মাঝে।
চণ্ডৌলির জেলাশাসক কুমার প্রশান্ত জানিয়েছেন, গুরুতর জখমদের মধ্যে মহিলার সংখ্যা বেশি। এর মধ্যে অন্তত পাঁচ জনের অবস্থা সঙ্কটজনক। ইতিমধ্যেই মৃতদের পরিবারপিছু দু’লাখ টাকা করে আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে জানানো হয়েছে। আর্থিক অনুদানের কথা ঘোষণা করেছেন অখিলেশ সরকারও। রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, মোদী সরকারের মতোই তারাও একই অঙ্কের আর্থিক সাহায্য দেবে।
পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয় ধর্মগুরু জয় গুরুদেবের হাজার হাজার ভক্ত এ দিন সকাল থেকেই ডমরির শিবিরের দিকে হাঁটতে শুরু করেন। ভক্তদের ভিড়ে এলাকায় প্রবল যানজট ছিল। রাজঘাট সেতু থেকে নীচে নেমে শিবিরের দিকে যেতে গিয়েই বিপত্তি ঘটে। ভিড়ের চাপে ভক্তদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। অনেকেই মাটিতে পড়ে যান। শুরু হয় চিৎকার-চেঁচামেচি। আঘাত লাগে পুণ্যার্থীদের। দিশেহারা হয়ে ছুটতে থাকেন অনেকে। ঘটনার খবর পেয়ে রাজঘাটা সেতুতে পৌঁছন স্থানীয় প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা। উদ্ধারকাজে নামেন পুলিশকর্মীরা।
শিবিরের পথে পুণ্যার্থীরা। ছবি: এপি।
এই ঘটনার পর ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে পড়েছে অখিলেশ সরকার। লখনউতে রাজ্য সরকার মুখপাত্রের দাবি, চণ্ডৌলির পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ জানতে একটি তদন্ত কমিটি গড়া হয়েছে।
আরও পড়ুন
ধর্ষণে শরিয়তি আইনের কথা তোলেন না কেন? প্রশ্ন মুসলিম মহিলাদের