জিএনএলএ সংগঠনের কালো টাকা নিজেদের অ্যাকাউন্টে জমা করার অভিযোগে এক তরুণী-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করল দক্ষিণ গারো হিলের পুলিশ। ধৃতদের এক জন গারো সঙ্গীতশিল্পী লুকাস মারাকের ছেলে সলি সাংমা। পুলিশ জানায়, দু’টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও সিল করা হয়েছে। সেখানে ছিল ২৮ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে ২৫ লক্ষ টাকা একসঙ্গে অ্যাকাউন্ট ‘ট্রান্সফার’ করা হয়েছিল। কী ভাবে আয়কর দফতরের নজর এড়িয়ে এত টাকা লেনদেন করা হয়েছিল, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনার মূল পাণ্ডা ছিল সলি।
জেলার এসপি আনন্দ মিশ্র জানান, জিএনএলএ তাদের কাছে জমে থাকা কালো টাকা সাদা করার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে খবর ছিল। তাই চলছিল গোপন নজরদারি। চোকপট বাজারের এক তরুণী চালবিক্রেতার মাধ্যমে মোটা টাকা লেনদেনের খবর মেলে। পুলিশ প্রথমে প্রবিলা মারাক নামে ওই তরুণীকে আটক করে। জেরায় পুরো চক্রের কথা জানায় সে। তরুণী বলে, জিএনএলএ কম্যান্ডার ও অর্থ দফতরের মাথা বাইচুং মোমিনের চাপে সলি সাংমা তাকে অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করতে বাধ্য করেছিল। লিঙ্কম্যান সেংচাং মোমিন জিএনএলএর তোলাবাজির টাকা প্রবিলার বাড়িতে রেখে যায়। তুরায় স্টেট ব্যাঙ্কের প্রধান শাখায় প্রবিলার অ্যাকাউন্টে পরে ওই টাকা জমা দেওয়া হয়। পুলিশের দাবি, প্রবিলার অ্যাকউন্টে তিরিশ লক্ষ টাকা জমা দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে ১২ নভেম্বর প্রবিলা সলির অ্যাকাউন্টে ২৫ লক্ষ টাকা পাঠায়। সলি জিএনএলএর টাকা ব্যবসায় খাটাচ্ছিল। সেংচাংকে চোকপট থেকে ধরা হয়। ২০১৪-য় শিলিগুড়িতে সলিকে ধরা হয়েছিল। সেখানে জিএনএসএর সোশ্যাল সাইট চালাত সে।
১৭ নভেম্বর উইলিয়ামনগর থেকে ৩৫ লক্ষ টাকার বাতিল নোট-সহ জিএনএলএর দুই লিংকম্যানকে ধরেছিল পুলিশ। কাল সাইরাং থেকে আসাম রাইফেলস দুই ব্যক্তিকে সাড়ে ৩৪ লক্ষ টাকার বাতিন নোট-সহ গ্রেফতার করে। আসাম রাইফেলেসের হাতে ধরা পড়ল এনএসসিএন (আর)-এর আঞ্চলিক কম্যান্ডার ও দুই জঙ্গি। সেনা সূত্রে খবর, অরুণাচলপ্রদেশের চাঙলাঙ জেলা ও টিরাপ জেলায় এনএসসিএন তোলাবাজি চালাচ্ছিল। আসাম রাইফেলস অভিযান চালিয়ে তোলাবাজিতে নেতৃত্ব দেওয়া টিরাপের কম্যান্ডার ক্যাপ্টেন এলি কেটক ও তার দুই সঙ্গীকে ধরে।
গুয়াহাটির রুক্মিণীগাঁও এলাকা থেকে পুলিশ হাবুল আলি, জহিদুল ইসলাম ও দীনেশ কলিতা নামে তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। তাদের কাছে মিলেছে নতুন ২ হাজার টাকার নোটে তিন লক্ষ টাকা এবং বাতিল ৫০০ ও ১ হাজার টাকার নোট মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ৫ লক্ষ টাকা।