৩০ রকম নিরামিষ পদে জাপানি অতিথি বরণ করলেন মোদী

সুশি আর টেরিইয়াকিতে অভ্যস্ত জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে এবং তাঁর স্ত্রী আকি আবে-র সম্মানে দেওয়া নৈশাহারে আজ রইল শুদ্ধ ভারতীয় নিরামিষ খানা। আমদাবাদের হেরিটেজ হোটেল দ্য হাউস অব মঙ্গলদাসে গত কয়েক দিন ধরেই চলেছিল জোরকদমে প্রস্তুতি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৪:১৮
Share:

বেশ-বদল: নরেন্দ্র মোদীর রাজ্যে পৌঁছে তাঁরই মতো কুর্তা-পাজামা, জ্যাকেটে সাজলেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। বুধবার আমদাবাদের গাঁধী আশ্রমে । ছবি: রয়টার্স।

কাঁসার বাসনে ৩০ রকম নিরামিষ পদ! যার বেশির ভাগটাই গুজরাতি।

Advertisement

সুশি আর টেরিইয়াকিতে অভ্যস্ত জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে এবং তাঁর স্ত্রী আকি আবে-র সম্মানে দেওয়া নৈশাহারে আজ রইল শুদ্ধ ভারতীয় নিরামিষ খানা। আমদাবাদের হেরিটেজ হোটেল দ্য হাউস অব মঙ্গলদাসে গত কয়েক দিন ধরেই চলেছিল জোরকদমে প্রস্তুতি। আজকের নৈশভোজের জন্য বিশেষ যত্ন সহকারে বানানো হয়েছিল ধোকলা, ভারেলা করেলা ডুঙ্গরি, পুরি, হান্ডভো (যা কি না নরেন্দ্র মোদীরও প্রিয় খাদ্য), থেপলা। পাশাপাশি ছিল রায়তা, মহারাষ্ট্রের শ্রীখণ্ড— আরও কত কী!

কোনও বিদেশি রাষ্ট্রনেতার সরকারি সফরে দেশের রাজধানীর বদলে অন্য কোনও রাজ্যে শীর্ষ বৈঠক করার ধারণাটিই যথেষ্ট অভিনব। এই সফরে জাপানকে নিজের রাজ্যের লোকাচারের গন্ধ দিতে চান মোদী। আজ বিমানবন্দরে নামার পরেই আবেকে কার্যত নিজের পোশাক পরিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী! রোড শো-তে জাপানের প্রধানমন্ত্রীকে দেখা গিয়েছে কুর্তা-পাজামায়। সঙ্গে সেই জ্যাকেট, যা অধুনা মোদীর ‘ট্রেডমার্ক’ হিসেবেই জনপ্রিয়। ওই পোশাকেই আবে গিয়েছেন সাবরমতী আশ্রম, ষোড়শ শতকের সিদ্দি সইদ মসজিদে।

Advertisement

আরও পড়ুন: গুজরাতে বেহাল মোদীর তাস আবে-ই

আজ দিনভর এমনই সাংস্কৃতিক সংযোগের পরে আগামিকাল বসতে চলেছে দ্বিপাক্ষিক শীর্ষ বৈঠক। যেখানে নজরের কেন্দ্রে বহু বিজ্ঞাপিত বুলেট ট্রেন তো রয়েছেই, তার পাশাপাশি চিনের প্রস্তাবিত ‘ওবর’-এর পাল্টা হিসেবে ভারত-জাপান যৌথ উদ্যোগে ‘এশিয়া আফ্রিকা গ্রোথ করিডর’-এর উদ্বোধনকেও গুরুত্ব দিচ্ছে নয়াদিল্লি। দু’দেশের মধ্যে সামরিক সহযোগিতাও এক ধাপে অনেকটাই বাড়তে চলেছে বলে দাবি করছে বিদেশ মন্ত্রক।

আবের এই সফর নিয়ে কৌতূহলী চিনও। গত বছরই বেজিং অভিযোগ তুলেছিল, ভারতকে সস্তায় অস্ত্র বিক্রি করছে টোকিও। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারত এবং জাপানের অক্ষ আগামী দিনে কতটা প্রভাবশালী হয়, সে দিকে স্বাভাবিক ভাবেই নজর রাখা হচ্ছে। বিদেশসচিব জয়শঙ্করের কথায়, ‘‘আমাদের সঙ্গে জাপানের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ লুকিয়ে রয়েছে সামরিক সহযোগিতা এবং পরমাণু সমঝোতা— এই দু’টি বিষয়ের মধ্যে। ভারতকে সামরিক প্রযুক্তি হস্তান্তরের প্রশ্নে জাপানের খোলামেলা মনোভাবই প্রমাণ করে দেয়, দু’দেশের মধ্যে কতখানি আস্থা তৈরি হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন